টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দাপটে চলছে এখন। আর এমন যুগে ক্রিকেটারদের সবাইকে সব সংস্করণে পাওয়া যাবে এমনটা মনে করেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তবে তিনি বলেন ক্রিকেটাররা নিজেরাই পছন্দের সংস্করণ বেছে নিয়ে খেললে সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের আগেভাগেই নিশ্চয়তা দিতে হবে কোন সংস্করণে তারা খেলতে ইচ্ছুক বা ইচ্ছুক নন। এখানটায় বোর্ড সভাপতি জানালেন সাকিব আল হাসানকে বিভিন্ন সিরিজ বা সফরে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমানের টেস্ট না খেলা নিয়ে বিতর্ক চলছে ক’দিন ধরে। ঈদের ছুটিতে সেই বিতর্কে জোয়ার বইয়ে দেন খালেদ মাহমুদ। বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর শনিবার বলেন, টেস্টে মোস্তাফিজকে খুবই প্রয়োজন দলের। দেশ বড় না আইপিএলের টাকা, এই প্রশ্নও তোলেন দেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
বোর্ড সভাপতি অবশ্য এতে বিতর্কের কিছু দেখছেন না। রোববার টেস্ট অধিনায়ক মোমিনুল হক ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাজমুল হাসান মনে করিয়ে দিলেন এই সময়ের ক্রিকেটীয় বাস্তবতা। তিনি বলেন,‘আমাদের দেশে যে ব্যাপারটা হয়েছে যে আমাদের এই প্লেয়ারগুলোকে আমরা চাই না, তারা মন খারাপ করে যাক। আমরা চাই তারা হাসিমুখে যাক। নিজেরা সিদ্ধান্ত নিক। তবে যত তাড়াতাড়ি তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে ততই ভালো। কিন্তু একটা সময় তো আসবে যদি সিদ্ধান্ত না নেয়, তখন কোচিং স্টাফ, ম্যানেজমেন্ট, সবাইকে নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেটাই হবে।’ মোস্তাফিজ ছাড়াও অন্য অনেক ক্রিকেটার যে সংস্করণ বাছাই করে খেলছেন, এটাও তুলে ধরেন বিসিবি সভাপতি। এখানেই তিনি টেনে আনলেন সাকিবের প্রসঙ্গ। ‘অলরেডি তো রিয়াদ টেস্ট থেকে সরে আসছে, তামিম টি-টোয়েন্টি খেলছে না। মুশফিক এখনও খেলছে, তবে ওর চিন্তা-ভাবনাও জানা যাবে। আর আছে সাকিব।
সাকিবের ব্যাপারটা আবার এদের কারও সঙ্গে মেলে না। সাকিবের ব্যাপারটা বলাটা কঠিন। সব সংস্করণে সবাই ওকে চায়, কিন্তু ওকে পাওয়াটা কঠিন। আমরা আসলে নিজেরাই জানি না, ও কোনটা খেলবে কোনটা খেলবে না। ওর সাথে আমি যখন কথা বলি, তখন মনে হয় ও সবগুলোই খেলতে চায়। কিন্তু আবার যখন খেলা আসে, তখন দেখা যায় ওর সমস্যা। কিছু না কিছু সমস্যা থাকে, এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।’ ‘তবে আমি মনে করি যে, এই সিদ্ধান্তটা ক্রিকেটারদেরই নিতে হবে। খামাখা এগুলো মিডিয়াতে না বলে বোর্ডের সঙ্গে বসেই সিদ্ধান্ত নিলে ভালো। তাতে বোর্ডেরও একটু সুবিধা হয় সব কিছু চিন্তা করতে। কেউ যদি বলে এটা খেলব না, তখন আমরা বলতে পারি, ‘তিন মাস খেলো, ততদিনে আমরা রেডি করতে পারি (অন্য কাউকে)।’
এ জিনিসগুলো বোর্ডের সঙ্গে বসে করলে সহজ হয়। বাইরে কিন্তু তা-ই হয়।’ দলের প্রয়োজন হলে মোস্তাফিজকেও টেস্টে পাওয়া যাবে, এটা নিয়ে কোনো সংশয় নেই নাজমুল হাসানের। ‘ও তো আইপিএলে যাওয়ার আগেও বলে গেল, আইপিএলের চেয়ে আমার দেশের জন্য খেলা গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদমাধ্যমে বলেছে, আমাকে যদি শ্রীলংকা সিরিজে রাখা হয়, আমি আইপিএল খেলব না, এটা পরিষ্কার বলেছে। দেশের প্রয়োজন হলে আমি খেলব না, এমন কোনো ক্রিকেটার নেই।’