এটি সর্বজনবিদিত যে, যেকোন জাতিরাষ্ট্রে সাধারণ জনগণের ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রবহন বিভিন্ন ব্যাংক–আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূলধন সঞ্চারণে প্রণিধানযোগ্য নিয়ামক। সঞ্চিত এই অর্থ ঋণ স্বরূপ বিতরণের মাধ্যমে ব্যাংকের মুনাফা এবং শিল্পায়ন সমৃদ্ধির গতিময়তা–ব্যাপকতা পেয়ে থাকে। বিপুল কর্মসংস্থানের উৎকৃষ্ট মাধ্যম হিসেবে শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই। শিল্পবিপ্লব থেকে শুরু করে সমকালীন সময় পর্যন্ত এই ব্যবস্থাই সর্বত্র কার্যকর ও সমাদৃত। সমাজ সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় দীর্ঘকাল প্রচলিত হস্তচালিত শিল্পকে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রশিল্পে রূপান্তরিত করে অধিক সংখ্যক জনগোষ্ঠী ও বিভাজিত শ্রমনির্ভর উৎপাদন কৌশলের মিথস্ক্রিয়া বিশ্বকে বর্তমান অবস্থানে উন্নীত করেছে। বিগত কয়েক দশক শ্রম ঘন শিল্পের প্রসার এবং গুণগত মানসম্মত উৎপাদিত পণ্যের বিতরণ–বাণিজ্যিকীকরণ দেশের রাজস্বখাতের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে অসাধারণ পরিতোষ নির্মাণে অনবদ্য ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত। এরই আলোকে দেশে শিল্পঋণ বিতরণ–ব্যবহার–অতিরঞ্জিত প্রতারণা–চিহ্নিত মাফিয়া চক্রের সিন্ডিকেট কর্তৃক ঋণগ্রহণে যথেচ্ছাচার–অপকৌশলে বিদেশে অর্থপাচার দেশকে নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে চলছে।
অতিসম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় খেলাপি ঋণের সুদ মওকুফের দৃশ্যাদৃশ্য সমগ্র জাতিকে হতাশাগ্রস্ত–হতবাক করেছে। ৩১ মার্চ ২০২২ গণমাধ্যম সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিভিন্ন ব্যাংক ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২৩ হাজার ১৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে। যার মধ্যে সরকারি ব্যাংকে ১৪ হাজার ৫৭৮ কোটি ৪৫ লাখ এবং বেসরকারি ব্যাংকে ৮ হাজার ৫৮৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। প্রতিবেদনে দেখা যায়; ২০১২, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালে সুদ মওকুফ করা হয় যথাক্রমে ১ হাজার ৩২ কোটি ১৫ লাখ, ৯৬৩ কোটি ৪১ লাখ, ১ হাজার ২৪৭ কোটি ৪৭ লাখ, ১ হাজার ৩৮০ কোটি ৬৭ লাখ, ৯৬৭ কোটি ৫৫ লাখ, ১ হাজার ৯০০ কোটি ৯৭ লাখ, ২ হাজার ২৩৬ কোটি ২৭ লাখ, ৩ হাজার ৬৩৮ কোটি ৮৫ লাখ, ৪ হাজার ৯২১ কোটি ৫৭ লাখ ও ৪ হাজার ৮৭৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। বিশেষজ্ঞদের অভিমত ব্যাংকের মোট আমানতের প্রায় ৯০ শতাংশ সাধারণ গ্রাহক হলেও ১০ শতাংশের শেয়ারধারীদের দাপটই সব সময় পরিলক্ষিত হয়। ক্ষেত্রবিশেষে আমানতকারীরা তাদের জমানো টাকাও ফেরত পায় না। সব সময় বড়–ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিরাই বেশি সুদ মওকুফের সুবিধা পেয়ে থাকে।
২ মার্চ ২০২২ প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ১ হাজার ৭৯৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ২৪ এপ্রিল ২০২২ গণমাধ্যমে প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, দুর্নীতির দায়ে ৭টি নন–ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডুবতে বসেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিতরণকৃত ঋণের সর্বনিম্ন ৪২ থেকে সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশই খেলাপি। এছাড়াও আরও ৯টি প্রতিষ্ঠানের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদরা এমন করুণ পরিস্থিতির জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রভাবশালী এবং রাজনৈতিক যোগসাজশে ঋণ বিতরণকে দায়ী করার পাশাপাশি পরিচালক ও শীর্ষ ব্যবস্থাপনাকে অভিযুক্ত করেন। এছাড়াও সার্বিকভাবে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার এবং আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংককে উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদও দৃশ্যমান করার পরামর্শ দিয়েছেন। ব্যাংক সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞজনের মতে খেলাপি ঋণের ঊর্ধ্বগতি কমাতে হলে সুশাসন বাড়িয়ে দুর্নীতি বন্ধ করে প্রতিটি ঋণ যথাযথভাবে যাচাই–বাছাইয়ে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ঋণের মান বাড়াতে হবে। ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের শাস্তির দৃশ্যমানতা এবং স্বচ্ছতাই ঋণ খেলাপি হ্রাসের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে বলে তাদের মতামতে উঠে আসে। তাঁরা আরও বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তিন মাস অন্তর খেলাপি ঋণের যে হিসাব তৈরি করে, তাতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। এর সঙ্গে অবলোপন করা টাকা যোগ করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে।
ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির পাশাপাশি করোনাকালীন সময়েও দেশে কোটি টাকা আমানতকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ গণমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন মতে ব্যাংকে কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছে এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৩৯টি। জুন ২০২১ শেষে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ৯৯ হাজার ৯১৮ জন। অর্থাৎ ৩ মাসে ব্যাংক ব্যবস্থায় নতুন কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৩২১ জন। ২০০৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৪৯২ জন। সেই হিসেবে বিগত ১৩ বছরে নতুন কোটিপতিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৮ হাজার ৪২৬ জন। শুধু করোনাকালে দেড় বছরে নতুন করে কোটিপতি হয়েছে ১৭ হাজার ২৯৩। যদিও করোনাকালে মানুষ নতুন করে গরীব হয়েছে এর অনেকগুন বেশি। দেশের অর্থনীতিবিদদের ধারণা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পরিসংখ্যান কোটিপতির প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে না। বাস্তবে কোটিপতি বেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। তারা এই বৃদ্ধিকে সমাজে আয় বৈষম্যের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বলেও মনে করেন। লন্ডন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ–এক্স’র প্রতিবেদনে ২০১৮ সালে সম্পদশালী বৃদ্ধির হার ও ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রক্ষেপণ ধরে বলা হয়েছিল, ৩ কোটি ডলার বা আড়াইশ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিকের সংখ্যা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি হারে বাড়ছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে অতি ধনীর সংখ্যা বেড়েছে গড়ে ১৭ শতাংশ হারে যেটি যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারতসহ মোটি ৭৫টি বড় অর্থনীতির দেশের চেয়ে বেশি। উক্ত সংস্থার ২০২০ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও বিশ্বে গত এক দশকে ধনী ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধির হারে শীর্ষে থাকা দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে রয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ হারে ধনাঢ্য ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েছে। তালিকায় শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে ৬টিই এশিয়ার।
খ্যাতিমান অর্থবিষয়ক গবেষকরা করোনাকালে কোটি টাকা আমানতকারীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির অবস্থা মোটামুটি ভালো। এমনকি করোনাকালের পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল। এ সময়ে অনেক মানুষের আয়ও বেড়েছে কিন্তু বিনিয়োগ হয়নি। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় অনেকেই ব্যবসা–বাণিজ্যে টাকা খাটাচ্ছে না। ঝুঁকি থাকায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার সুযোগ থাকলেও সবাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নয়। এছাড়া বিভিন্ন শর্তের কারণে সঞ্চয়পত্রেও টাকা বিনিয়োগে অনীহা রয়েছে। ফলে যাদের আয় বেড়েছে, তাদের টাকা ব্যাংকে এসেছে আমানত হিসেবে। এতে কোটি টাকার আমানত হিসাব বেড়ে যায়। দেশে যখন প্রবৃদ্ধি তথা আয় বাড়ে, তখন আয়বৈষম্যও বাড়ে। উচ্চ আয়ের মানুষের হাতে বেশি অর্থ কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ে।’
আশা জাগানিয়া বিষয় হচ্ছে; ৮ অক্টোবর ২০২১ গণমাধ্যম প্রতিবেদনে প্রকাশিত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের শীর্ষ অর্থনীতিবিদদের মতে, ২০২২–২০২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। এতে দেশের জিডিপির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা)। বর্তমান মাথাপিছু আয় ২,২২৮ ডলারের বিপরীতে ২০২৬ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের প্রধান স্ট্র্যাটেজিস্ট ও গ্লোবাল হেড অব রিসার্চ বলেন, ‘যখন বিশ্বব্যাপী পুনরুদ্ধারের গতি এবং সরবরাহ অত্যন্ত অসম রয়ে গেছে, তখন বাংলাদেশ ২০২০ সালে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধির শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। জোরদার টিকাদান কর্মসূচি এবং কৌশলগত অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এলডিসি থেকে দেশের উত্তরণে প্রত্যাশিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার গতি আরো বেড়েছে।’ যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) এর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল ২০১৯ শীর্ষক প্রতিবেদনে ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহৎ ২৫টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। সম্মানিত অর্থমন্ত্রীও আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবশালী ২০টি দেশের তালিকায় আসছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখিত পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় জালিয়াত ও প্রতারক চক্রের পৃষ্ঠপোষক ঋণখেলাপিদের ঢালাওভাবে সুদ মওকুফ করা কোনভাবেই যৌক্তিক–সমুচিত সিদ্ধান্ত হতে পারে না। ভূমি–জলদস্যুদের ভুয়া দলিলপত্র যাচাই–বাচাই না করে বঙ্গোপসাগর–কর্ণফুলী–পদ্মা–যমুনা–বুড়িগঙ্গাসহ পার্বত্য অঞ্চল ও রাষ্ট্রের অমূল্য সম্পদ পাহাড়–পর্বতে বিভিন্ন চা–রাবার–ফলাহার উৎপাদনের নামে লীজকৃত জমি বন্ধকের বিনিময়ে সীমাহীন ঋণ প্রদান অনতিবিলম্বে বন্ধ করা হউক। নানা কূট কৌশল ও অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এসব লুম্পেন–লুটেরাদের নামে বরাদ্দকৃত রাষ্ট্রের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মাফিয়া চক্রের দখলমুক্ত করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশের আইন শৃঙ্খলার অবনতি–হত্যা–গুম–সহিংসতা–অরাজকতার পিছনে এ ধরনের কর্মযজ্ঞগুলোই প্রধানত দায়ী। মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনায় পরিশুদ্ধ দেশপ্রেমিক দক্ষ–যোগ্য–শিক্ষিত ব্যক্তি–তরুণ উদ্যোক্তাদের সূক্ষ্ণ পরীক্ষা–নিরীক্ষার ভিত্তিতে চিহ্নিত করে দলভিত্তিক এসব সম্পদ বরাদ্দের মাধ্যমে দেশকে সার্বিক উৎপাদনমুখী করা এবং কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ত আশু ব্যবস্থা গ্রহণ অনিবার্য। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আপামর জনগণ অর্থনীতিকে সচল ও অধিকতর উপযোগী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কৃষি বিপ্লব সফল–সার্থক করার উদ্দেশ্যে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণে অতিমাত্রায় আগ্রহী। অসাধু–ধান্দাবাজ দেশধ্বংসের চক্রান্ত–ষড়যন্ত্রকারীদের সমূলে উৎপাটনে যেনতেনভাবে ঋণ প্রদান ও সুদ মওকুফের অনাকাঙ্ক্ষিত–অবাঞ্ছিত–অর্বাচীন ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে ঋণখেলাপিরা বরাবরই উৎসাহিত–প্ররোচিত হবে– নিঃসন্দেহে এটি বলা যায়।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়