ভোররাতে বৃষ্টি, ভোগান্তি দিনভর

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৫ মে, ২০২২ at ৮:০৮ অপরাহ্ণ

আজ বৃহষ্পতিবার ভোররাতের বৃষ্টিতে তীব্র জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছেন নগরবাসী। পানিবন্দী হয়ে পড়েন ফিরিঙ্গিবাজার ও বাকলিয়াসহ শহরের অনেক এলাকার বাসিন্দারা। কোথাও হাঁটু এবং কোথাও গোড়ালিসমান পানির জন্য চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে।

নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের কাজের সুবিধার্থে অনেক খালে বাঁধ দিয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা। এসব বাঁধের কারণে পানি যেতে না পারায় জলাবদ্ধতা প্রকট হয়েছে বলে দাবি করেছেন নগরাবসী।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আজ সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলেছে। জলাবদ্ধতার কারণে কর্মস্থলমুখী লোকজনের ভোগান্তি ছিল চরম।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ফিরিঙ্গিবাজার,দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বাকলিয়া, ডিসি রোড, চকবাজার ও চান্দগাঁও এলাকায় হাঁটু সমান পানি জমেছিল

ফিরিঙ্গবাজার ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাসা-বাড়ির নিচতলায় পানি ঢুকে যায়। এ ধরনের কয়েকটি ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রায়হান ইউছুপ লেখেন- “চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত প্রকল্পের কাজে নিয়োগকৃত অযোগ্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা, সীমাহীন গাফেলতির কারণে ও তদারককারীগনের উদাসীনতায় এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর চরম ব্যর্থতায় ৩৩নং ফিরিঙ্গী বাজার এলাকার বংশাল রোড, আর সি চার্চ রোড, চুরিয়ালটুলী, ডাঃ মান্নান গলি, আলকরণ ২নং ও ৩নং গলিসহ প্রায় সমস্ত এলাকার মানুষ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এর তৃতীয় দিন ভোর বেলার বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে। সমস্যা সমাধানে অতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”

এ এলাকায় গতকাল বুধবারও পানি জমেছিল বলে জানান স্থানীয় কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব।

দুপুরে নগরের চকবাজার মুহাম্মদ আলী শাহ দরগাহ লেনের বাসিন্দা আবদুল হামিদ বলেন, সকাল ৬টায় পানি উঠেছে। এখন দুপুর ১২ টা। পানি নামে নাই। পানির জন্য ঈদ আনন্দ মাটি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

খবর নিয়ে জানা গেছে পাঁচটার পর লেইনটির পানি নামে।

নগরের ডিসি রোড এলাকার বাসিন্দা শহীদ বলেন, রাস্তায় হাঁটু পরিমাণ পানি। তাও ময়লা পানি। মানুষের চরম দুর্ভোগ হয়েছে।

নগরে জলাবদ্ধতা চলমান মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী দৈনিক আজাদীকে বলেন, সকাল থেকে আমাদের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম মাঠে ছিল। পানি যেসব জায়গায় আটকে যাচ্ছিল সেখানে পরিষ্কার করে দিয়েছে। পানি নেমেও গেছে।

কোথায় কোথায় পানি আটকে ছিল জানতে চাইলে বলেন, কয়েকট খালে তো কাজ চলমান আছে। যেমন উত্তরা খাল, চান্দগাঁও আবাসিকের পেছনে অনন্যা আবাসিকের ওদিকে। সেখানে পানি আটকে ছিল। বামনশাহী খালেও আটকে ছিল।

এছাড়া দুই নম্বর গেইট, ফিরিঙ্গিবাজার, পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় পানি আটকে ছিল বলে জানান লে. কর্নেল শাহ আলী।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিত চৌধুরী বলেন, বৃহষ্পতিবার (৫ মে) বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় নগরে ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফের বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম
পরবর্তী নিবন্ধঅফিস খুলেছে, উপস্থিতি কম