বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি স্থায়ী পরিষদের সভাপতি, দৈনিক পূর্বকোণ লি. এর চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে চট্টগ্রামবাসীর ভূমিকা মুখ্য হওয়া সত্ত্বেও উন্নয়ন অগ্রগতির ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বরাবরই পিছিয়ে ছিল। বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে ১৯৯৪ সনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ঘোষণা করলেও তার কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও কার্যক্রম শুরু করা হয়নি। এমনকি জাতীয় সংসদে বাণিজ্যিক রাজধানীর কোনো বিল পর্যন্ত উত্থাপন না করার কারণে চট্টগ্রামবাসীর মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৯ সনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের দ্বায়িত্ব নিজ কাঁধে নেওয়ার পর আজ যেসব উন্নয়ন দৃশ্যমান তার প্রায় সবটুকুই তারই অবদান। কিন্তু চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক হলেও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত না থাকায় চট্টগ্রামের পরিকল্পিত উন্নয়ন হচ্ছে না বললেই চলে। অথচ প্রাচ্যের রানী এই চট্টগ্রামের পরিকল্পিত উন্নয়ন হলে চট্টগ্রাম হতে পারতো বিশ্বের নান্দনিক আধুনিকতম একটি অন্যতম বিশ্বমানের শহর। তাই বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি ঈদের পরে চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজকে নিয়ে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন বাস্তবায়ন, কর্ণফুলী নদী রক্ষা ও কালুরঘাট সেতু নির্মাণের দাবিতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক্তার শেখ শফিউল আজমের সভাপতিত্বে ও এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে ডাক্তার শেখ শফিউল আজম বলেন, চট্টল বিদ্ধেশী একটি মহল সব সময় চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে তারা চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবিকে গিলে খেতে চায়। সিআরবির প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হরে সেখানে বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণের ষড়যন্ত্র চট্টগ্রামবাসী যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করবে।
মহাসচিব এইচ এম মুজিবুল শাকুর বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বরা যদি চট্টগ্রামের পরিকল্পিত উন্নয়ন চায়, তাহলে চট্টগ্রাম প্রকৃতপক্ষে বিশ্বমানের শহরে পরিণত হতে সময় লাগবে না। চট্টগ্রামের দুঃখ জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও কেন কি কারণে চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা মুক্ত হতে পারছে না তা চট্টগ্রামবাসী জানতে চাই। তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের গৃহীত মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করে অরক্ষিত ড্রেন, খাল ও নালায় স্লেব ও রেলিং নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিহা মুসা, বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নুরুল হক, সংগঠনের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা ইব্রাহিম বানু, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইব্রাহিম, আব্দুস সবুর খান, পীরজাদা এনামুল হক মুনীরি, রাকিবুল আমিন, আজম উদ্দীন, মুহাম্মদ হাসান সিকদার প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












