সীতাকুণ্ডে ছাত্রলীগের দুইপক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৯ এপ্রিল, ২০২২ at ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুইপক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থান ঠেকাতে ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত একটি গ্রুপ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে ইফতার মাহফিলের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। কিন্তু গতকাল বুধবার বিকেলে একইস্থানে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রিয়াদ জিলানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে এসে অবস্থান নেন। এ সময় দুই পক্ষের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি শ্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উভয়পক্ষকে ধাওয়া দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলা মিলনায়তনে অপর পক্ষের ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘কমিটি গঠনের পর থেকে দলীয় নেতাকর্মীর মতামত ছাড়াই একতরফাভাবে সংগঠন পরিচালনা করছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক। পাশাপাশি ছাত্রলীগের নিবেদিত কর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন।’ তিনি জানান, বুধবার প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে তারা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্যাতিত ও পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জন্য ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন। তবে বিকেলে ছাত্রলীগের বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশৃক্সখলার সৃষ্টি করে। এতে প্রশাসন তাঁদের ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেয়।

উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম রিয়াদ জিলান বলেন, ‘ছাত্রলীগের ব্যানারে ইফতার মাহফিল হলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদকই আয়োজন করবেন। ওখানে যারা ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে তাঁরা ছাত্রলীগের কেউ না। তিনি বলেন, ইউএনওকে অনুষ্ঠান বন্ধের অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি উপজেলায় আসা ছাত্রলীগের ব্যানারে ইফতার মাহফিলের আয়োজনকারীদের নিষেধ করাতে তাঁরা আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, বুধবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইফতার মাহফিল করতে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বেশ কয়েকদিন আগে আমার কাছে আসেন। তিনি ইফতার মাহফিলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বলেও জানান। এই ইফতার মাহফিল ছাত্রলীগের ব্যানারে হওয়ায় এটি নিয়ে কারও আপত্তির কথা আমার জানা ছিল না। বুধবার আয়োজকেরা সেখানে ইফতারের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। এরই মধ্যে ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি দল অনুষ্ঠানস্থলে এসে জানায়, ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক ছাড়া অন্য কেউ ছাত্রলীগের ব্যানারে সভা করতে পারবে না। এই সভা বন্ধের দাবি জানান তারা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে ধাওয়া দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনার পর ইফতার মাহফিল বন্ধ করার পাশাপাশি উভয় পক্ষকে উপজেলা পরিষদ থেকে চলে যেতে বলি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙামাটিতে নির্মাণাধীন সেতু ভেঙে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২০
পরবর্তী নিবন্ধএকজনকে কোপাতে দেখে আরেকজনের মৃত্যু