ফ্যাশন সচেতন তরুণীদের কাছে ঈদ মানে পোশাকের সাথে মিলিয়ে চুড়ি, কানের দুল ও জুতা-স্যান্ডেল কেনা। ঈদের বাকি আছে আর পাঁচ-ছয়দিন। বেশিরভাগ তরুণী ইতোমধ্যে পোশাক কিনে ফেলেছেন। এখন তারা ভিড় করছেন কসমেটিকস ও জুতা-স্যান্ডেলের দোকানে।
উচ্চবিত্তের নারীরা ছুটছেন অভিজাত বিপণীতে। পিছিয়ে নেই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তও। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশিরভাগ তরুণী এখন কসমেটিকস ও নানা ধরনের গহনা, অলঙ্কারের দিকে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে পোশাকের সাথে ম্যাচিং করে লিপস্টিক, চুড়ি ও জুতা-স্যান্ডেল কিনছেন।
গতকাল নগরীর নিউ মার্কেট, রিয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, টেরীবাজার, চকবাজারের মতি টাওয়ার, কেয়ারি, বালি আর্কেড, ২ নম্বর গেট শপিং কমপ্লেক্স, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, সেন্ট্রাল প্লাজা, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমীন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, স্যানমার ওস্যান সিটি, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, জুয়েলারি ও কসমেটিকসের শো-রুমে নারী ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
স্যানমার ওশান সিটিতে কথা হয় কলেজ ছাত্রী উম্মে হাবিবার সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের প্রায় সব কেনাকাটা শেষ। পোশাক কিনেছি এক সপ্তাহ আগে। এখন কিছু কসমেটিকস ও জুয়েলারি কেনার বাকি। মেয়েদের টুকিটাকি কেনাকাটার শেষ নেই। নিজের জন্য এবং ছোট বোনের জন্য কানের দুল নিয়েছি। এখনো স্যান্ডেল কেনা বাকি আছে। স্যান্ডেল কেনা হলে ঈদের শপিং পরিপূর্ণ হবে। চকবাজার বালি আর্কেডে আসা
গৃহিণী সুলতানা আকতার বলেন, সারা বছরই কিছু কিছু কসমেটিকস, জুয়েলারি কেনা হয়। কিন্তু ঈদের আগে কসমেটিকস কেনার আনন্দটাই আলাদা। মেয়ের জন্য কানের দুল, গলার মালা ও আইলাইনার নিয়েছি। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি।
রিয়াজুদ্দিন বাজারে বান্ধবীদের নিয়ে স্যান্ডেল কিনতে এসেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মালিহা তাবাসসুম। তিনি জানান, পোশাক, কসমেটিকসের শপিং শেষ। এখন কেবল স্যান্ডেল কেনা বাকি। দুই বান্ধবীকে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছি।
নগরীর ব্যস্ততম মার্কেট তামাকুমণ্ডি লেইনে ক্রেতাদের তিল ধারণের ঠাঁই নেই। কেনাকাটার ব্যস্ততায় বিক্রেতাদের দম ফেলার ফুরসত নেই। ইসমাইল হোসেন নামের এক বিক্রেতা জানান, দুদিন ধরে কসমেটিকসের দোকানে বিক্রির চাপ বেড়েছে।
তামাকুমণ্ডি বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক আজাদীকে বলেন, মার্কেটে এখন জমজমাট বেচাকেনা চলছে। আমরা যেমন আশা করেছিলাম এর চেয়ে ভালো চলছে। ঈদের আগে জুতা-স্যান্ডেল ও কসমেটিকসের বেচাবিক্রি বেশি হয়। বিশেষ করে নারীদের পণ্যগুলো বেশি চলে। আমাদের মার্কেটে এসে ক্রেতারা বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে পারছেন। কসমেটিকস সামগ্রীর আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণে দাম আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে জানান তিনি।
স্যানমার ওশান সিটি ও নাসিরাবাদ ফিনলে স্কয়ার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদ ইফতেখার আজাদীকে বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাচ্ছে। সেই হিসেবে বেশিরভাগ মানুষ আগামী দুদিনের মধ্যে কেনাকাটা সারতে চাইবেন। স্বাভাবিকভাবে এই মুহূর্তে কসমেটিকস, জুয়েলারি ও জুতা-স্যান্ডেলের দোকানে ভিড় থাকবে। বেশিরভাগ মানুষ ঈদের পোশাক কিনে ফেলেছেন। বর্তমানে মার্কেটে রাত-দিন জমজমাট বেচাবিক্রি চলছে।