ঈদে চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়া রুটে প্রতিদিন ২টি জাহাজে এবং সন্দ্বীপ রুটেও ডাবল ট্রিপে যাত্রী পরিবহনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। হাতিয়া রুটে শনিবার থেকে প্রতিদিন এমবি বার আউলিয়া এবং এমবি তাজউদ্দিন ঈদের যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। এই দুটি জাহাজের ধারণ ক্ষমতা ১ হাজার করে দুই হাজার হলেও ঈদে প্রায় আরো ১ হাজারের বেশি যাত্রী পরিবহন করা হবে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে এমবি আইভি রহমান সীতাকুণ্ডের কুমিরা থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে এতোদিন শুধুমাত্র একবার আসা-যাওয়া করলেও ঈদ উপলক্ষে গতকাল থেকে ডাবল ট্রিপ শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিজিএম (কর্মাশিয়াল) গোপাল চন্দ্র মজুমদার আজাদীকে বলেন, ঈদে সদরঘাট থেকে প্রতিদিন হাতিয়া রুটে দুটি জাহাজ যাবে। অগ্রিম টিকিটের যাত্রী পরিবহন শনিবার থেকে শুরু হবে। চট্টগ্রামের সদরঘাট বিআইডব্লিউটিসির অফিসে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। কুমিরা-গুপ্তছড়া রুটে রোববার থেকে এমবি আইভি রহমান জাহাজের ডাবল ট্রিপ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়া রুটে এমবি বার আউলিয়ার ধারণ ক্ষমতা ১ হাজার এবং এমবি তাজউদ্দিনের ধারণ ক্ষমতা ১ হাজার। তবে ঈদ উপলক্ষে যাত্রী বেশি যাবে। তবে কতো যাত্রী যাবে তা ডিসি অফিসে আমাদের মিটিং আছে-সেই মিটিংয়ে নির্ধারণ হবে।
হাতিয়া রুটে একটি সকাল ১০টায় এবং একটি বিকালে যাবে। অপরদিকে কুমিরা-গুপ্তছড়া রুটে চলাচলরত এমবি আইভি রহমান প্রথমে সকাল ৭টায় গুপ্তছড়া ঘাট থেকে ছাড়বে। এরপর সকাল ৯টায় কুমিরা থেকে ছাড়বে। অপরদিকে বেলা ১১টায় আবার গুপ্তছড়া ঘাট থেকে ছাড়বে এবং বিকাল ৩টায় কুমিরা থেকে ছাড়বে গুপ্তছড়ার উদ্দেশ্যে।