সড়ক ও রেলের পাশাপাশি বিমানেও ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ পড়তে শুরু করেছে। ঈদকে সামনে রেখে টিকেটের দামও অনেক বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটের ৮০ শতাংশের বেশি টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দুই বছর পর এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ অত্যধিক। হাজার হাজার মানুষ গ্রামে ঈদ করতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া এবার ঈদের ছুটিও বেশি। একদিন ম্যানেজ করতে পারলে টানা নয়দিন ছুটি পাবেন চাকরিজীবীরা।
সবকিছু মিলে প্রচুর লোক ঈদ করতে গ্রামে যাবেন। এর চাপ ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। ঘরমুখো মানুষের চাপ সড়ক, নৌ ও রেলপথে। কিন্তু যানজটসহ নানা ভোগান্তির কারণে অবস্থাপন্নরা বিমান পছন্দ করছেন। চট্টগ্রাম থেকে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যেতে অনেকে আকাশ পথের শরণাপন্ন হচ্ছেন। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে সেখান থেকে আবার অন্য রুটের ফ্লাইট ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কিন্তু ঈদের আগের দিনগুলোর টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ বিমান, নভো এয়ার ও ইউএস বাংলার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী ফ্লাইটগুলোর টিকেটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়ছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার সিঙ্গেল ওয়ে টিকেটের দাম এখন ৯/১০ হাজার টাকা।
জানা যায়, করোনাকালে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট অপারেটররা টিকেটের মূল্য অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার সর্বনিম্ন ভাড়া ছিল আড়াই হাজার টাকা। বাংলাদেশ বিমান সেটি সাড়ে ৩ হাজার টাকা করেছে। বেসরকারি ফ্লাইট অপারেটর ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার করেছে ৫ হাজার টাকা। সর্বনিম্ন এই ভাড়া ঈদকে সামনে রেখে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিলের টিকেট গতকাল ৯/১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। টিকেটের দাম আরো বাড়তে পারে। তবে টাকা দিয়েও র্নির্দিষ্ট দিনগুলোর টিকেট মিলছে না। প্রায় প্রতিটি ফ্লাইটে ৮০ শতাংশের বেশি টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।
একাধিক ট্রাভেল এজেন্সির সাথে কথা বলে জানা গেছে, টিকেটের দাম চড়া। তবুও অনেক মানুষ টিকেট কিনছেন। অনেকেই টিকেট চেয়েও পাচ্ছেন না।
ফ্লাইট অপারেটরদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এই ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে।