বোয়ালখালীর আলোচিত মাদরাসা শিক্ষার্থী মাশফি (৭) খুনের মামলাটি অবশেষে পিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হত্যাকাণ্ডের দেড় মাস পরও রহস্যাবৃত রয়ে গেছে খুনিরা।
গত ৫ মার্চ চরণদ্বীপ ইউনিয়নের হযরত শেখ অছিয়র রহমান ফারুকী (রহ.) এতিমখানা ও হেফজখানায় ইফতেখার মালেকুল মাশফিকে জবাই করে হত্যা করা হয়। মাশফি ঐ হেফজখানার নাজেরা’র ছাত্র। মাশফি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে হেফজখানার তিন শিক্ষক জাফর আহমদ (৫২), রুস্তম আলী, (৩৭) ও শাহাদত হোসেনকে (২৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জাফর আহমদ ও রুস্তম আলীকে পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হলেও তারা কোন তথ্য দেয়নি পুলিশকে।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোন আলামতও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে মাশফির পরিবার হতাশায় ভুগছেন, আদৌ বিচার পাবে কিনা মাশফির মায়ের দাবি। মামলার বাদী মাসুদ খান বলেন, হত্যাকাণ্ডের দেড় মাস পর অবশেষে পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পিবিআই থেকে আমাকে এ কথা ফোন করে বলা হয়েছে। শীঘ্রই তারা তদন্তে আসবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে পুলিশ ইন্সপেক্টর পিবিআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, মামলাটি মাত্র হাতে পেয়েছি। খুঁটিনাটি দেখতে হবে আমাদের। সম্পূর্ণ প্রতিবেদন তৈরী করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে আবার তার আগেও হতে পারে।
বোয়ালখালী থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, ৪ দিন আগে পিআইবি আমাদের কাছ থেকে মামলার সম্পূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে।