ইদানিং একজন আরেক জনকে মিথ্যে সন্দেহ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু মানুষের এমন অবস্থা যে, এটি না করলে যেন তাদের পেটের ভাত হজমই হয় না। এর ফলে প্রায় ঘরে নানা ধরনের অশান্তি বিরাজ করছে। নিজের স্ত্রীকে বা বোনকে নিয়ে বাইরে গেলেও পরিচয় দেয়ার বা কিছু বলার আগেই সন্দেহবশতঃ নানা টিপ্পনী শুনতে হয়। স্বামী-স্ত্রী পরষ্পরকে সন্দেহ করার ফলে দাম্পত্য জীবনে মানসিক-শারীরিক নির্যাতন নেমে আসে। ক্ষেত্র বিশেষে তাদেরকে বিচ্ছেদের মতো জঘন্য সিদ্ধান্তেও উপনীত হতে দেখা যায়। আমাদের দেশে আসামী সন্দেহ করে নিরপরাধ ব্যক্তিকে বছরের পরে বছর হাজতে রাখার খবরও আমরা গণমাধ্যমের কল্যাণে পেয়ে থাকি। একজনের ন্যায়সঙ্গত উন্নতি দেখে সন্দেহের বশবতী হয়ে নোংরা কথা বলার মানুষের বিচরণও আমাদের চারপাশে লক্ষণীয়। দেশের মানুষের জন্য সরকারের উন্নয়নকে বিরোধীদল যেমন সন্দেহ করে আবার বিরোধী দলের ন্যায্য দাবীকেও সরকার সন্দেহের চোখে দেখে। নিজের কিছু করার বিন্দুমাত্র ক্ষমতা না থাকলেও অন্যের উন্নতিতে তার হিংসায় জ্বলেপুড়ে নানান ধরনের সন্দেহের কথা যেন শেষ হবার নয়। মনে হয় কারো না কারো সন্দেহের তালিকায় নেই এমন একজন মানুষও আমাদের সমাজে পাওয়া যাবে না। এসবের কারণে একদিকে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি সমাজে অশান্তি বিরাজ করে, অপরদিকে সমাজের চোখে সন্দেহকারীর অবস্থান অত্যন্ত নড়বড়ে হয়ে যায়। তাই তো প্রায় প্রতিটি ধর্মেই সন্দেহ করে অনুমাননির্ভর কোনো কথা না বলার জন্য কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা ধর্মের আদেশ পুরোপুরি পালন করতে পারলেই প্রকৃত অর্থে ‘ভালো মানুষ’ হিসেবে সমাজে বিচরণ করতে পারবো।












