সামপ্রতিক সময়ে শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের সাথে যে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ টি তার ছাত্ররা ঘটিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আইন করে বিদ্যালয়ের মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা উচিত। বিদ্যালয় এবং উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের বর্তমানে মোবাইল ফোনের প্রয়োজন নেই। যেহেতু এখন আমরা অনেকটাই করোনা মুক্ত। সব ক্লাস সরাসরি শিক্ষকরা সশরীরে পাঠদান করতে পারছে। তাহলে কেন তারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করবে। আমরা গভীর ভাবে চিন্তা করলে দেখতে পাবো এখনকার টিনএজ ছেলেমেয়েরা সাহিত্য জগতের দিকপাল লেখকদের ভালো একটা বই পড়ে না কিংবা নিজের মতো কবিতা, গল্প ছড়া লিখে না। আমাদের বাঙালির সংস্কৃতি ঐতিহ্য ইতিহাস নিয়েও তারা ভাবে না। আমাদের যে সমৃদ্ধ লোকগীতি আছে তা ও শোনার চেষ্টা করে না। তারা বেশীরভাগ সময় মোবাইলে বুঁদ হয়ে খুব সহজে সেলিব্রেটি হতে চায়। কিছু একটা করে ভাইরাল হয়ে শিরোনাম হতে চায়। এটা করতে গিয়ে আরেক জনের কতো বড়ো ক্ষতি করে দিচ্ছে সেটা তাদের বোধগম্য নয়। অনেকেই আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার কথা শোনা যাচ্ছে। এটাও তাদের একটা ফ্যান্টাসি। এইধরনের অস্বাভাবিক আচরণ আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিবে যাবে। এদেশের মা বাবা, শিক্ষাবিদ রাজনৈতিক নেতাদের আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবা উচিত। যে ছাত্ররা শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা বলে মিছিল করেছে, ওসব ছাত্র দের মা-বাবা হয়তো কল্পনাও করেনি তাদের সন্তান একজন শিক্ষককে এভাবে অপমান করবে। তারা হয়তো সন্তানের ভালোর কথা চিন্তা করে মোবাইল ফোন হাতে তুলে দিয়েছে। এখন যদি বিদ্যালয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ না করা হয় তাহলে সমাজে আরও ভয়ংকর রূপ নিবে। এবং খুব সহজেই যে কোনো শিক্ষক বা প্রতিবেশীকে হেনস্তা করার অপকৌশলের আশ্রয় নিবে।