সীতাকুণ্ডে লরির চাপায় ও পটিয়ায় ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন মোহাম্মদ টিটু (২৮) ও মোহাম্মদ রবিন (৩৫)। অন্যদিকে কুতুবদিয়ায় টমটম চাপায় এক প্রাইমারি স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। তার নাম মেহেরুন্নেছা (৮)।
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাসেম জুট মিলস এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরি চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী টিটু নিহত হন। তিনি সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুরস্থ দেলিপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফার পুত্র। টিটু পুরাতন জাহাজের স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী ছিলেন। নিহতের মামা ওমর ফারুক খোকন জানান, টিটু সকালে ঘর থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেল যোগে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিল। কাসেম জুট মিলসের সামনে পৌঁছলে চট্টগ্রামমুখী একটি লরি ইউটার্ন করে তার মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। বিকেল ২টায় নিজ বাড়িতে নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে। বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি নাজমুল হক জানান, এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষে থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।
পটিয়া প্রতিনিধি জানান, গত শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হাসপাতাল এলাকায় রবিন নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। রবিন চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা নজু মিয়া লেন এলাকার মো. আনিছের পুত্র।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের এসআই মো. জাহিদ জানিয়েছেন, কঙবাজারমুখী একটি ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মহেশখালী প্রতিনিধি জানান, গতকাল শনিবার দুপুর ২টায় কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ মনোহরখালী সড়কে টমটম চাপায় মেহেরুন্নেছা নামে এক পথচারী শিশু নিহত হয়েছে। সে মনোহরখালী গ্রামের মাসুক হোছাইনের মেয়ে এবং মনোহরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। একই ঘটনায় আহত হয়েছে তার এক সহপাঠী ও টমটম যাত্রী অপর নারী।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুর ২টায় মনছুরা বেগম (৪০) নামে এক মহিলা যাত্রী নিয়ে একটি টমটম বেপরোয়া গতিতে মনোহরখালী সড়কের বিসমিল্লাহ নার্সারির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় সড়ক পার হওয়ার চেষ্টায় থাকা দুই শিশু মেহেরুন্নেছা ও নিলাকে টমটমটি চাপা দিয়ে উল্টে যায়। এতে টমটমের যাত্রী নারী ও পথচারী ২ শিশু গুরুতর আহত হয়। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেরুন্নেছাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ছাবের আহমদের স্ত্রী মনছুরা বেগম ও বেলাল হোছাইনের মেয়ে নিলা (৮) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হাকিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অধিকাংশ রোডে টমটমগুলো বেপরোয়াভাবে চলাচল করায় প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি। কুতুবদিয়া থানার এসআই মকবুল হোছাইন বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত শিশুর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।










