পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটাভুটি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পদত্যাগ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল সোমবার দলটির পার্লামেন্ট সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে ডন। এদিন বিকালে পার্লামেন্ট হাউসে পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে পাকিস্তানের জিওনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের কর্মীরা দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। ডয়েচে ভেলে জানাচ্ছে, রোববার করাচি, পেশোয়ার, মুলতান, খানেওয়াল, খাইবার, ইসলামাবাদ, লাহোর, অ্যাবোটাবাদসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। সেই বিক্ষোভে দলের প্রচুর কর্মী ও সমর্থক সামিল হয়েছেন।
বিডিনিউজের খবর থেকে জানা যায়, এক টুইটে গণপদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় তথ্যসচিব ফাররুখ হাবিব। টুইটে বলেছেন, আমদানি করা সরকারের বিরুদ্ধে পরিষদগুলো থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্লামেন্টারি দল। পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই পিটিআই এমপিদের মধ্যে প্রথম মুরাদ সাইদ তার পদত্যাগ পত্র জমা দেন বলে জানায় ডন। ডন নিউজ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংগতি রেখে নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানে সরকার গড়া বা ভেঙে দেয়ার অধিকার কী বিদেশি শক্তির থাকা উচিত? বিরোধীদলীয় প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী শাহবাজ শরিফ সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা দুর্নীতিবাজ ছিল, আছে। এদিকে, পদত্যাগের কথা বললেও গতকাল জাতীয় পরিষদে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের অধিবেশন শুরু হলে পিটিআই এমপিরা অধিবেশন বয়কট করে চলে যান।