অসহায় আত্মসমর্পণের পর মোমিনুলের মুখে উন্নতির সে পুরানো বুলি

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১২ এপ্রিল, ২০২২ at ৮:০৯ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে দারুন সন্তুষ্টি ছিল বাংলাদেশ দলে। দেশে বগুড়ায় ক্যাম্প করার পাশাপাশি টেস্ট সিরিজের অনেক আগে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে অনুশীলন ক্যাম্পও করে। গ্যারি কার্স্টেনের একাডেমিতে নিবিড় অনুশীলনের সুযোগও ছিল ক্রিকেটারদের। এতো চমৎকার প্রস্তুতির কোনো ছাপ রাখা তো দূরের কথা, ন্যুনতম লড়াইও করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। মোমিনুল হকের মতে এর একমাত্র কারণ বাজে ব্যাটিং। ডারবানে প্রথম টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ৫৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম দিন ইনিংস স্থায়ী হয়েছিল কেবল ৫৫ মিনিট। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় দল হেরেছিল ২২০ রানে। পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে হলো যেন এর পুনরাবৃত্তি। চতুর্থ দিন ইনিংস স্থায়ী হলো কেবল এক ঘণ্টা। একের পর এক উইকেট বিলিয়ে সফরকারীরা থামল কেবল ৮০ রানে। ম্যাচ হারল ৩৩২ রানে।
দুই টেস্টেই বাংলাদেশের শেষ ইনিংসে বোলার পরিবর্তন করতে হয়নি ডিন এলগারকে। কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মারই শেষ করে দেন কাজ। মহারাজ দুবারই নেন ৭ উইকেট করে। বাকিগুলো হার্মার। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মোমিনুল জানালেন, ন্যূনতম লড়াইটুকুও না করতে পারার জন্য একটাই কারণ তার চোখে পড়ছে। লড়াই করতে না পারার ব্যাখ্যা একটাই। আমরা খুব বাজে ব্যাটিং করেছি। এটাই আর কোনো কিছু নাই। আমার মনে হয়, আমরা খুব বাজে ব্যাটিং করেছি। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে বলতে গেলে আমরা আসলে খেলতে পারিনি। আমার মনে হয় আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হয়তো ভুল ছিল। দুয়েকটা আউট ছিল যেখানে হয়তো করার কিছু ছিল না। কয়েকটা আউট ছিল, যেখানে আমরা বাস্তবায়নে ভুল করেছিলাম। বাস্তবায়নে ভুল হলেই কাজ কঠিন হয়ে যায়। আর এমন না যে এমন স্পিনিং উইকেটে এর আগে খেলিনি। স্পিনিং উইকেটে খেলে অভ্যস্ত বাংলাদশের ইনিংস এবার স্থায়ী হয় কেবল ২৩.৩ ওভার। মহারাজ ও হার্মারের স্পিনে উইকেটে পড়ে থাকার দিকে মন ছিল না কারো। বেশির ভাগই আউট হন বড় শট খেলার চেষ্টায়। আক্রমণাত্মক খেলার লক্ষ্য নিয়েই কি নেমেছিলেন মুমিনুলরা। পরিকল্পনা যা ছিল, হয়তো বাস্তবায়ন ঠিক হয়নি। আমার আর ইয়াসির আলি চৌধুরি রাব্বির যে আউট ছিল, হয়তো উড়িয়ে মারা ঠিক হয়নি। যেহেতু বল বেশি স্পিন করে আমার মনে হয়, স্কয়ার অব দ্যা উইকেট খেলা ভালো। আগেও বলেছিলাম। তার মানে এই না যে, উড়িয়ে মারতে হবে, শট নিচে রাখতে পারলে ভালো হতো। উপরের অপশন না নিয়ে নিচের অপশন নিলে ভালো হতো। প্রস্তুতিতে এগিয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার মূল খেলোয়াড়দের অনেকেই না থাকায় অভিজ্ঞতায়ও এগিয়ে। এরপরও দুই ম্যাচে এমন বড় হার, মানতে পারছেন না মুমিনুল। অধিনায়ক হিসেবে এটা হতাশাজনক। ওদের দলের অনেক মূল খেলোয়াড় নেই। আমার মনে হয়, আমাদের সুযোগ ছিল ভালো, একটা টেস্ট ম্যাচ জেতার। ওই সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। প্রতিপক্ষ দলে অনেক মূল খেলোয়াড় ছিল না। সুযোগগুলো কাজে লাগানো উচিত ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডবলমুরিং ক্লাবের জার্সি উন্মোচন
পরবর্তী নিবন্ধরমিজের চারদলীয় সিরিজের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি আইসিসি