উন্মাদনা আর হিংসা থেকে বিরত থাকব

রূপম চক্রবর্ত্তী | মঙ্গলবার , ১২ এপ্রিল, ২০২২ at ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ

যুগ যুগ ধরেই অশুভ শক্তির মানুষগুলো দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছে। তারপরও ভাবি পৃথিবী আবার শান্ত হবে। দেশ যেমন শান্ত থাকবে একই ভাবে পৃথিবীর মানুষও শান্ত থাকবে। পাশাপাশি আমার পরিবারও শান্ত থাকবে। করোনা এর ধর্মীয় উন্মাদনার চিন্তায় সাধারণ মানুষ জর্জরিত। অনেক মানুষ ভীত এবং সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছেন। দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি আমাদেরকে অনেক দুর্বল করে ফেলেছে। সারাদিনের কর্মক্লান্ত বাবা বিকেলে বাসায় আসলে তার প্রিয় সন্তান জড়িয়ে ধরতে পারবে। বাসার চার দেওয়ালের ভেতর থাকতে থাকতে হাঁফিয়ে উঠা মানুষগুলো আবার মুক্ত বাতাসের গন্ধ পাবে। খেলার মাঠগুলো এখন অনেক সতেজ হয়েছে। গ্রামের মেঠো রাস্তা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের চলাফেরায় আবার চঞ্চলতা ফিরে এসেছে। নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমাদের কেউ কেউ বাসায় অতিথি আসা নিষেধ করেছিলাম।
অথচ বাঙালি জাতি আবহমান কাল ধরে অতিথিপরায়ণ। এখন এক অজানা ভয় কাজ করে। মনে হয় লোকটি জীবাণু বহন করছেন। স্রষ্টা অবশ্যই কৃপা করেছেন। আশা করি দেশের মানুষ সব রকমের ভয় ভীতি কাটিয়ে আগামী প্রজন্মকে সুন্দর একটি বাসযোগ্য পৃথিবী উপহার দিতে পারবে। টিভি এবং সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি কিছু কিছু মানুষের অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। গত করোনাকালীন সময়ে দেশে অপরাধ অনেক হ্রাস পেয়েছিল। হয়তো অপরাধীর মনে ভাইরাস জনিত মৃত্যু ভয় ঢুকেছিল। করোনা শেষ হওয়ার সাথে সাথে মানুষের হিংসা, লোভ, লালসা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ত্রাসীগোষ্ঠী, চাঁদাবাজ, মুনাফাখোর, ভূমিদুস্য, কালোবাজারি জানুক মহাশক্তিময়ের শক্তির কাছে আমরা ধুলিকণার ছেয়েও অনেক অনেক ছোট। পরম প্রভুর কৃপা ছাড়া আমাদের চলা অসম্ভব। কামনা করছি পরম প্রভুর দয়ায় আবার আমরা সতেজ হয়ে উঠব যেখানে আমাদের মাঝে কোনো ভয় থাকবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাটল ট্রেন এক চলমান মৃত্যুফাঁদ, প্রতিকার চাই
পরবর্তী নিবন্ধভালো-মন্দ বিচার করার চাবি