রমজানে খাদ্যে ভেজাল ও দূষণ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক হোটেল-রেস্তোঁরা মালিক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ রেস্তোঁরা মালিক সমিতির চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমদ সুলেমান বলেন, আমরা মালিকরা কখনো কোনো সংস্থাকে সন্তুষ্ট করতে পারি না। গত ১৮ মাস করোনার কারণে আমরা লোকসান দিয়েছি। এরমধ্যে প্রশাসন আমাদেকে লাখ লাখ টাকা জরিমানা করছে। আমর প্রশাসনের প্রতি একটু মানবিক হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা মালিকরা বাজার করি না। আমাদের হোটেল রেস্তোঁরার রান্নার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হয়। এখন আমরা বাজার করা সময় যদি বিক্রেতা গরুর মাংসের বদলে মহিষের মাংসের দিয়ে, আমার কি করার আছে। আর আমাদের আলাদা নীতিমালার দরকার। হোটেল রেস্তোঁরা মালিকদের নির্দিষ্ট একটা একটা সংস্থার অধীনে দিয়ে দেয় দরকার। বর্তমানে আমাদের কখনো সিটি কর্পোরেশন, কখনো ভোক্তা অধিকার এবং কখনো নিরাপদ খাদ্য বিভাগ থেকে অভিযান চালায়। যে কোনো সংস্থা আমাদের কার্যক্রম তদারকি করলে উভয়ের জন্যই ভালো হয়। বাংলাদেশ রেস্তোঁরা মালিক সমিতির চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ইলিয়াছ আহমেদ ভূইয়া বলেন, আসলে রেস্টুরেন্ট ব্যবসাতে নির্দিষ্ট কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই। একটা আইন করা দরকার, মালিক সমিতির সুপারিশ ছাড়া কেউ কেউ ট্রেড লাইসেন্স পাবে না। এছাড়া এটিকে নিবন্ধনের আওতায় আনা উচিত। আমরা দাবি জানাচ্ছি, রেস্টুরেন্টগুলোকে খাদ্য অধিদপ্তরের অধীনে নিয়ে আসা হয়। কেবল অভিযান চালিয়ে কোন লাভ হবে না। খাদ্য অধিদপ্তরের অধীনে এনে আপনারা রেস্টুরেন্টের সক্ষমতা বিবেচনায় এ বি সি ডি, ক্যাটাগরি করেন। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, জরিমানার কথা হোটেল রেস্টুরেন্ট মালিকরা একই ভুল বারবার করছেন। আপনি কষ্ট করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কববেন, সুতরাং এটা দেখভাল করা আপনাদের দায়িত্ব। যে অপরাধের কারণে জরিমানা করা হচ্ছে, সেটি আবারও হচ্ছে। ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে। অপরিস্কার এবং মূল্য তালিকার না টানানোর জন্য জরিমানা হচ্ছে, এগুলো আপনাদের শুধরাতে হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী বলেন, রেস্তোঁরা শ্রমিকদের ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে হবে। তাদের কোনো সংক্রামক রোগ আছে কিন সেটি দেখতে হবে। আরেকটি বিষয় প্রায় হোটেলে ফিরনিতে লেভেল থাকছে না। তাই বাধ্য হয়ে জরিমানা করতে হয়। জরিমানা করে আমার ব্যক্তিগত কোনো পার্সেন্টেজ থাকে না। একজনকে জরিমানা করলে দশজনকে শিক্ষা নেয়, সে কারণে বড় অংকের জরিমানা করা হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা নাজমুস সুলতানা সীমা বলেন, হোটেল রেস্টুরেন্টে আপনারা অন্তত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখুন। আমরা আপনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, লিফলেট বিতরণ করছি। ঈদের পর থেকে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে দিবো।