চলন্ত শাটল ট্রেনে টোকাইদের ছোড়া পাথরের আঘাতে প্রায় প্রতিদিনই আহত হচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা।
গত সাত দিনে এরকম পাথর নিক্ষেপে আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন শিক্ষার্থী। এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে অভিযোগও দেয়া হয়েছে কয়েক দফা। কোনো প্রতিকার না হলেও এবার নিরাপদ ট্রেন যাত্রা নিশ্চিত করতে অভিযান শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
আজ শনিবার (৯ এপ্রিল) ক্যাম্পাসে থেকে ছেড়ে যাওয়া সকাল ৯টা ২০ মিনিটের ট্রেনে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম ও আহসানুল কবির পলাশ। এসময় বহিরাগত, টোকাইদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ ট্রেন যাত্রা নিশ্চিত করতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। বহিরাগতদের ট্রেনে উঠতে দেইনি। যারা উঠেছে তাদের নামিয়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, চলন্ত শাটল ট্রেনে বাইরে থেকে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই ঘটছে বাইরে থেকে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা। এতে আমাদের ছাত্ররা রক্তাক্ত হচ্ছে। আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে কয়েকদফা এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
এসময় বহিরাগত কাউকে শাটল ট্রেনে উঠতে দেখলে তাদের নামিয়ে দিতেও শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন তিনি।
জানা যায়, প্রায় প্রতিটি পাথর নিক্ষেপের ঘটনাতেই রেললাইনের আশেপাশের বিভিন্ন বস্তি এলাকায় বসবাস করা ও রেললাইনের আশেপাশে ঘুরে বেড়ানো টোকাই ও পথশিশুরা জড়িত।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাওয়ার পথে বিভিন্ন স্টেশনে থামে। তখন ওসব স্টেশন থেকে প্রায় সময় এসব টোকাই ও পথশিশুরা ট্রেনে উঠে পড়ে। ট্রেন চলার সময় তারা দরজার সামনেই অবস্থান করে। আবার কেউ কেউ ট্রেনের ছাদে উঠে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে। এসময় ট্রেনের বাইরে রেললাইনের আশেপাশে থাকা টোকাইরা ট্রেনের ভেতরে এবং ছাদে থাকা টোকাইদের দেখতে পেলেই তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে যা শাটলের দরজা জানালা দিয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের গায়ে আঘাত করে।