বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস প্রসঙ্গে

কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম | শনিবার , ৯ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

গত ৭ এপ্রিল ছিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্বজুড়ে পালিত হয়েছে দিবসটি। মরণঘাতি জীবানু করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ তাণ্ডবের পর বিশ্ব কিছুটা স্বস্তির দিকে এখন। এরপরও কখন করোনার নতুন ধরন প্রকাশ পায় সে ভাবনায় আছেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞগণ। যদিও কার্যকর টিকা আবিষ্কার ও তা ব্যাপকভাবে গ্রহণের কারণে জনমনে আতংক কমেছে। এছাড়া, নানা অসুখ বিসুখে অনেক মানুষ কষ্টে আছেন। এমনিতে করোনা বিশ্বস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নতুন করে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। ভাবতে হচ্ছে স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে কীভাবে আরো আধুনিক ও উন্নত করা যায় তা নিয়ে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে নিরাপদ ও সুখের করতে স্বাস্থ্যবান্ধব চিকিৎসাব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। মানুষ যেন সহজে চিকিৎসা ও পথ্য পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বের দরিদ্র ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য সংকটে রয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে। সেখানে সঠিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাছাড়া, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে চিকিৎসা সংকটে রয়েছে সাধারণ নিরীহ মানুষ। এতে নারী ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি চিকিৎসাবঞ্চিত থাকছে। বিশ্বের পরাশক্তিগুলোকে যুদ্ধবিগ্রহ থামাতে হবে। যে কোনো সংকটকালে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাসহ সব দেশকে সাধারণ মানুষের উন্নত স্বাস্থ্য গঠনে পর্যাপ্ত ও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। মূলত পর্যাপ্ত ও সহজভাবে যেন মানুষ চিকিৎসাসেবা পায় সে ব্যাপারে আমাদের সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কত মানুষ নিজের স্বাস্থ্যের জন্য অর্থকড়ি খরচ করছে কিন্তু সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেনা যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এসব নিয়ে স্বাস্থ্যব্যবস্থার সাথে জড়িত সকলকে ভাবতে হবে। সেবার মনোভাব নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। পাশাপাশি নতুন জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার চিকিৎসা প্রযুক্তি রপ্ত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করতে হবে। নির্মোহ ও নির্লোভ মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে পারলে স্বাস্থ্যসংকট মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোজায় ভিন্নধর্মমতাবলম্বী শিক্ষার্থীদের খাবার সংকট নিরসনে চবি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
পরবর্তী নিবন্ধদ্রব্যমূল্য সমতায় রাখার অনুরোধ