মাকে বলল বন্ধুর বাসায় যাচ্ছে।। একদিন পর মিলল নদীতে লাশ

লামা প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৭ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

মায়ের ইচ্ছায় কিছু দিনের মধ্যেই বর সাজার কথা ছিল লামা উপজেলার পৌরসভা এলাকার বড় নুনারবিল পাড়ার সুমন কর্মকারের (২৬)। কনে দেখা এবং কথা-বার্তাও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। কিন্তু তার আগেই গতকাল বুধবার সকালে মাতামুহুরী নদীর সাবেক বিলছড়ি পয়েন্টে মিলল তার ভাসমান লাশ। পৌর এলাকার বড় নুনারবিল পাড়ার মৃত সুরেশ কর্মকারের ছেলে সুমন পেশায় একজন টমটম চালক।
নিহতের মা ঝুনু কর্মকার বলেন, সোমবার বিকেলে ছেলের সঙ্গে শেষ দেখা হয়। রাত ১০টায় ছেলে ফোন করে জানায় সে তার এক বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছে এবং রাতে সেখানেই থাকবে। তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মিলেনি। বারবার চেষ্টা করেও তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় লোক মারফত জানতে পারি ছেলের লাশ পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, এক ছেলে এক মেয়ে রেখে পিতা সুরেশ কর্মকার মারা যাওয়ার পর অনেক পরিশ্রম করে মা ঝুনু কর্মকার ছেলেকে মানুষ করেন। একমাত্র ছেলে সুমন টমটম চালিয়ে পরিবারের ভরণ পোষণ চালাচ্ছিল। পারিবারিকভাবে বিয়ের কথাও অনেকটা এগিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই এক দিন নিখোঁজ থাকার পর বুধবার সকাল ১০টার দিকে মাতামুহুরী নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়। স্থানীয়রা মাতামুহুরী নদীর সাবেক বিলছড়ি পয়েন্টে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সুমনের লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে মা ঝুনু কর্মকার গিয়ে সন্তানের লাশ সনাক্ত করেন। লামা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমতাজুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মনে হচ্ছে লাশটি কিছুটা উপরের দিক থেকে ভেসে আসছে। লাশের শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্নও ছিল বলে জানতে পেরেছি।
লামা থানা উপ-পরিদর্শক মফিজুল আলম জানান, প্রাথমিক সুরতহাল করা শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লামা থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১২ ফুট সড়কের ৯ ফুটই দখলে
পরবর্তী নিবন্ধবাজেটে প্রতিবন্ধীদের ভাতা দুই হাজার টাকা ও চাকরিতে ৭ দাবি উত্থাপন