দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের অতিশয় মাত্রার স্লেজিং এবং মাঠের দুই আম্পায়ারের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করবে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে আম্পায়ারিং নিয়ে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। আরেকটি অভিযোগ হবে স্লেজিং নিয়েও। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মতে, মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড়দের স্লেজিংয়ের বিষয়ে করা কোনো অভিযোগই আমলে নেননি আম্পায়াররা। অন্যদিকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সামান্য প্রতিক্রিয়াতে বারবার হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন মারাইস এরাসমাস ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক। এর বাইরে আম্পায়ারিংয়ের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও স্পষ্ট ছিল স্বাগতিকদের দিকে পক্ষপাতিত্ব। বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত রিভিউ নিয়ে নিজেদের পক্ষে এনেছে বাংলাদেশ। এছাড়া আম্পায়ার্স কলের কারণেও হতাশ হতে হয়েছে ম্যাচে। তাই এসব নিয়েই করা হবে অভিযোগ। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান ওয়ানডে সিরিজের পর প্রথম অভিযোগ করা হয়েছে। আর ডারবান টেস্টের পর হবে দ্বিতীয় অভিযোগ। ওয়ানডে সিরিজের পর আমরা আম্পায়ারিং নিয়ে একটি অভিযোগ করেছি। তখন ম্যাচ রেফারি প্রাথমিকভাবে আমাদের টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবালের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল। তবে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর সে নরম হয়। আমরা আরেকটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করবো প্রথম টেস্টের পর। ডারবান টেস্টে মাঠের মধ্যে চলা স্লেজিং নিয়ে কথা বলেছেন অধিনায়ক মোমিনুল হকও। তার মতে, স্বাগতিকদের স্লেজিংয়ের মাত্রা কখনও কখনও গালাগালির পর্যায়ে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মোমিনুল বলেছেন, স্লেজিং তো হয় মাঠে। স্লেজিং হবে এটা স্বাভাবিক। স্লেজিং মাঝে মাঝে যদি গালাগালির জায়গায় চলে যায় সেটা খুব খারাপ। আমার মনে হয় মাঝে মাঝে ওরা গালিগালাজ করছিল খুব বাজেভাবে। যেটা আম্পায়ারও সেভাবে খেয়াল করেনি।
জালাল ইউনুস ক্রিকইনফোকে বলেছেন, অবশ্যই দুই দলই স্লেজিং করেছে। কিন্তু যখন তারা এটি শুরু করে তখন মাত্রা বজায় রাখেনি। আমরা আম্পায়ারদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। এগুলো গ্রহণযোগ্য ছিল না। আমরা এর নিন্দা জানাই। অবশ্যই আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। তবে আইসিসির উচিত নিরপেক্ষ আম্পায়ারে ফেরা।