আরপেজিও মিউজিক স্কুলের ১৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের এক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (২ এপ্রিল) ফুলকি স্কুল অডিটোরিয়ামে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই উপলক্ষে আনপ্লাগড কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করে এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা।
আরপেজিও এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে। মাত্র ২০ জন স্টুডেন্ট নিয়ে শুরু করে ২০২২ সালে মোট রেজিস্টার্ড স্টুডেন্ট ৫০০০। বতর্মানে অনেক স্টুডেন্ট একক এবং ব্যান্ডসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় রেগুলার কনসার্ট করছে, মৌলিক গান নিয়ে কাজ করছে এবং নতুন গান মুক্তি দিয়ে বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ করছে নতুন মাত্রা।
আরপেজিও মিউজিক স্কুল ১৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে নতুন বেশ কিছু প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। রেগুলার মিউজিক লেসনের পাশাপাশি এখন তাদের অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে যেখানে সকল লেসন ভিডিও আকারে দেওয়া থাকবে। তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেও সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে বিভিন্ন মিউজিক কোর্সে যোগ দিতে পারবে। এই প্লাটফর্মটি এক নতুন মাত্রা যোগ করছে মিউজিক লার্নারদের জন্যে।
আরপেজিও এর অনেক স্টুডেন্ট যারা একক বা ব্যান্ড নিয়ে কাজ করছে, তাদের মধ্য থেকে অডিশনের মাধ্যমে মৌলিক গান নিয়ে একটি মিক্সড এলবাম তৈরি হয়েছে যা এই বছরের মে মাসে অনলাইন রিলিজ করা হবে এবং একটি লঞ্চিং কনসার্টের আয়োজন থাকবে যেখানে এলবামে সুযোগ পাওয়া সকল শিল্পীরা পারফর্ম করবে। এই এলবামের নাম ঠিক করা হয়েছে ‘শেকড়’।
আরপেজিও এর কর্ণধার নাজিম উদ্দিন জাহেদ বলেন ‘আমরা চেষ্টা করছি যতটুকু সম্ভব আমাদের টিমসহ স্টুডেন্টদের নিয়ে কাজ করে যেতে, যাতে তারা এখন যেভাবে করছে তার চেয়ে আরো ভালভাবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কনট্রিবিউট করতে পারে এবং একই সাথে নতুন প্রজন্মের কাছে এই আলো ছড়িয়ে দিতে পারে। যে কোন একটা মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট শেখার মাধ্যমে স্কুল কলেজের স্টুডেন্টরা মোবাইল টিভি আসক্তি বা বাজে আড্ডায় না জড়িয়ে সুন্দর সময় কাটাতে পারে যা তাদের মানসিক বিকাশেও সহায়তা করবে।’
আরপেজিও মিউজিক স্কুলে স্টুডেন্ট পারফর্মিং সেশন, গ্রুমিং সেশন, অডিশন এবং বিভিন্ন বিষয়ের উপর মিউজিক ওয়ার্কসপের নিয়মিত আয়োজন থাকে যাতে করে স্টুডেন্টদের শেখার জায়গাটা আরো দৃঢ় হয় এবং তারা আরো বেশি মোটিভেটেড হয়।