বাংলাদেশ: অন্ধকার থেকে আলোর পথে
দেশের ব্যাপারে আমাদের অধিকাংশের দৃষ্টিভঙ্গি খুব নেতিবাচক। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে পাঁচতারকা হোটেলের বার, ড্রয়িংরুমের ঘরোয়া আড্ডা থেকে বিয়েবাড়ির ঝলমলে আসরে যেকোনো ছুতোয় দেশের কথা উঠলেই হলো, সবাই প্রতিযোগিতা করে কীভাবে, কার চেয়ে বেশি দেশ নিয়ে নেতিবাচক কথা বলতে পারবে, দেশকে ছোট করতে পারবে। এদের কথাবার্তা শুনলে যে কারো মনে হবে বিশ্বে বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ রাষ্ট্র বোধহয় আর দ্বিতীয়টি নেই। বলা বাহুল্য হবে যে, এদের অধিকাংশের আক্রমণের তীর শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রতি।
এরা মহামারির জন্য গালাগাল করে সরকারকে। টিকা আনতে না পারার জন্য দোষারোপ করে সরকারকে। আবার টিকাদান কর্মসূচির বিরোধিতা করে বানোয়াট কিছু গল্প ফেঁদে। অনেক সক্ষম দেশের আগে বাংলাদেশ টিকার ব্যবস্থা করতে পারলেও ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য এরা সকাল-বিকাল সরকারের পিণ্ডি চটকেছে। অথচ সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে যখন সরকার চুক্তি করেছিল তখন অনেক ধনী দেশ তাদের জন্য টিকা নিশ্চিত করতে পারেনি। অন্যদিকে এরাই টিকাবিরোধী নানা অপপ্রচার চালিয়েছে। শুরুতে করোনার অস্তিত্ব স্বীকার না করা এক শ্রেণির মোল্লার দল ফতোয়া দিয়েছিল, ‘করোনা আছে বিশ্বাস করলে ঈমান চলে যাবে। করোনা মুসলমানদের আক্রমণ করবে না।’ বলাবাহুল্য, সরকার এই পর্যন্ত মহামারি পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করেছে, জানি না ভবিষ্যতে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে।
অনেক সামর্থবান দেশ যা পারেনি বাংলাদেশ তা দক্ষতার সঙ্গে পেরেছে এবং করোনা সংক্রমণ এখন শূন্যতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। প্রায় ২৩ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন করেছে। এই পরিস্থিতিতেও বছরের শুরুতে সরকার চার কোটিরও অধিক শিক্ষার্থীর হাতে প্রায় ৩৫ কোটি নতুন বই তুলে দিয়েছে।
দুই বছর মহামারিকালে বিশ্বের অনেক দেশ অর্থনৈতিকভাবে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যহত হয়নি। সবকটি মেগা প্রকল্পের কাজ নিজস্ব গতিতে চলেছে এবং লক্ষমাত্রা পূর্ণ করেছে। এ বছর কয়েকটি চালু হবে। আগামী বছর সমাপ্ত হবে অধিকাংশের কাজ।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ আরেকটি বৃহৎ কাজ সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশকে নিয়ে কটাক্ষকারী নিন্দুকের দল বিষয়টি এড়িয়ে তো গেছেই এমনকি সরকারিদল আওয়ামী লীগও এত বড় অর্জনটি নিয়ে জনগণকে উদ্দীপ্ত করার কাজটি করতে পারেনি। কভিডকালীন সকল বাধা ডিঙিয়ে বর্তমান সরকার সারা দেশে সব গৃহে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিতে পেরেছে। সরকারের সাফল্যের কথা বাদই দিলাম, দেশ যে এত বড় সাফল্য অর্জন করেছে তা নিয়েও খুব বেশি উচ্ছাস নেই মানুষের মধ্যে। জানি অনেকে এর জন্য সাধারণ মানুষের অভাব-অনটন ও আর্থিক দুরাবস্থার কথা তুলে ধরবে। সেটি একেবারে মিথ্যে নয়। তবে সে সঙ্গে বাস্তবতাও ভাবতে হবে। কভিডকালীন বিশ্ব পরিস্থিতি এবং নতুন করে রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধও প্রতিদিন পরিস্থিতিকে জটিল থেকে জটিলতর করে তুলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সারা দেশ বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আসা অনেক বড় একটি অর্জন।
১৯৭৪-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমরা রেলের যে কোয়ার্টারে ছিলাম সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। একটি হ্যারিকেনের আলোয় আমরা কয়েক ভাইবোন পড়েছি। এরপর রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে আসি সেখানে সীমিত বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া হয়েছিল সম্ভবত ৭৭ সালের পর। আমাদের বাড়িতে সংযোগ পেয়েছি সম্ভবত ৮৪ সালে। সে সময় বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেই যথেষ্ট ছিল না। দিনের অধিকাংশ সময়ে সেখানে সরবরাহ থাকতো না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড়জোর চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকতো। লোডশেডিং ছিল একটি বড় নাগরিক বিড়ম্বনা। দোকানে দোকানে ছিল নিজস্ব জেনারেটর। তার শব্দ ও ধোঁয়ায় কোনো কোনো মার্কেটে প্রবেশ করাও মুশকিল হয়ে পড়তো। বাড়িতে বাড়িতে ছিল নানা ধরনের রিচার্জেবল লাইট। এ ছাড়া মোমবাতি, হারিকেন, কুপি জ্বালানোর প্রচলন তো ছিলই। এখন বিশ বছরের নিচে বয়েসী কাউকে এসব কথা বললে তা রূপকথাই বলে ধরে নেবে।
বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা টালবাহানা হয়েছে। তারেক জিয়ার খাম্বা কেলেঙ্কারি তো একটি বহুল নিন্দিত বিষয় বলে বিবেচিত। এই পরিস্থিতি শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগে পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রথমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেন। তার সেসব পদক্ষেপ নিয়ে দেশের কয়েকটি মহল আপত্তি জানালেও আখেরে তাতে বাংলাদেশেই লাভবান হয়েছে। দেশের রপ্তানিশিল্প বিশেষ করে তৈরিপোশাকশিল্প তাদের উৎপাদনের সক্ষমতা বজায় রেখে বিশ্ববাজার নিজেদের আয়ত্তে রাখতে পেরেছে। পোশাক রপ্তানিখাতে বাংলাদেশ যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে তা শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তার ফলেই হয়েছে। নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লাখ লাখ পোশাকশ্রমিক জীবিকা নির্বাহ করতে পেরেছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণা বলছে, বাংলাদেশে ১০ লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে তার প্রভাব সামষ্টিক অর্থনীতিতেও পড়ে। এতে অর্থনীতিতে বাড়তি যোগ হয় প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ থেকে ১০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বিদ্যুৎসুবিধায় চরের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যেতে শুরু করেছে। কয়েক বছর আগেও গ্রামের মানুষের একমাত্র জীবিকা ছিল কৃষি। সেখানে এখন ছোট আকারে ধানকল থেকে শুরু করে হাঁস-মুরগির খামার, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, কারখানা, তাঁতশিল্প, খামার, যন্ত্রচালিত যানে বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা, ইউনিয়ন পরিষদে তথ্যসেবা কেন্দ্র, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া পাঠদান সুবিধা নিশ্চিত হচ্ছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্যুৎসুবিধা পৌঁছানোর কাজ করা আরইবি বলছে, ২ লাখ ২৯ হাজার ২৬৭টি ছোট শিল্পে বিদ্যুৎসংযোগ দিয়েছে তারা। শিল্পে সংযোগ দিয়েছে ১৪ হাজার ৩২০টি। দেশে এখন কয়েক লাখ বিদ্যুৎচালিত গাড়ি আছে। সে সব গাড়ির জন্য ৯ হাজার ২১৮টি ব্যাটারি চার্জিং স্টেশনে সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ সত্য লুকানোর কোনো উপায় নেই।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্ব দেয়। ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২৭, তা বেড়ে এখন ১৪৮টি হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ৪ হাজার ৯৪২ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। উৎপাদন বেড়েছে পাঁচ গুণ। একই সময়ে সঞ্চালন লাইন বেড়েছে ৫ হাজার ২১৩ কিলোমিটার, বিতরণ লাইন বেড়েছে ৩ লাখ ৬১ হাজার কিলোমিটার। নতুন করে বিদ্যুৎসংযোগ হয়েছে ৩ কোটি ১৩ লাখ। এর মধ্যে সেচসংযোগ দ্বিগুণ হয়েছে। গত ২১ মার্চ উদ্বোধন হয়েছে পায়রার ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। সেদিন প্রধানমন্ত্রী শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেন। একইদিন একটি পত্রিকা তাদের নিজস্ব প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরি ও কুশলা ইউনিয়ন দুটি বিলে ঘেরা। এমন বিস্তীর্ণ বিলের মধ্যেও কেউ কেউ বসবাস করে। দুই ইউনিয়নের ভিন্ন দুটি গ্রামে বিচ্ছিন্ন চারটি পরিবারকে খুঁজে পেয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বর্ষায় এসব গ্রাম থাকে প্লাবিত। প্রায় সব ধরনের নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত ওই চার পরিবারেও পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎসংযোগ। সৌরবিদ্যুৎসুবিধায় তাদের ঘরেও জ্বলছে আলো। শুধু বিলের মধ্যে নয়, দুর্গম পাহাড় ও বিচ্ছিন্ন সব চরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎসংযোগের সুবিধা। গ্রিডসুবিধা না থাকায় এসব এলাকায় কোথাও নদী পারাপার লাইন এবং কোথাও সাগর-নদীর তলদেশ দিয়ে টানা হয়েছে সাবমেরিন কেবল। কোথাও কোথাও তা করা যায়নি। তাই বসানো হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ (সোলার হোম সিস্টেম)। আর এভাবেই দেশের প্রতিটি জনপদে পৌঁছানো হয়েছে বিদ্যুৎসুবিধা।’
দেশে মোট উপজেলা ৪৯৫টি। এর মধ্যে ৪৬২টি উপজেলায় বিদ্যুৎসেবা দিচ্ছে দেশের আরইবি। এ সংস্থার কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহের গ্রিড নেই, এমন ১ হাজার ৫৯টি গ্রামে তারা বিদ্যুৎসংযোগ নিয়ে গেছেন। ফলে বিচ্ছিন্ন এসব গ্রামে দুই লাখের বেশি পরিবার বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। নদী পারাপার লাইন তৈরি করতে হয়েছে ৯০টি জায়গায়। টানা হয়েছে মোট ১৮২ কিলোমিটার সাবমেরিন কেবল।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে কর্মসূচি নেওয়া হয়। এর আগে ২০১৬ সালে ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ শীর্ষক কর্মসূচি শুরু হয়। বাড়ি বাড়ি ভ্যান নিয়ে গিয়ে বিদ্যুৎসংযোগ দিতে আরইবি চালু করে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ কর্মসূচি। আরইবি সূত্রগুলো পাওয়া তথ্যে জানা যায়, এভাবে ২১ লাখ সংযোগ দেওয়া হয়েছে । এভাবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন একটি চর এলাকা। এই ইউনিয়নের কেন্দ্রস্থল থেকে আরও ৭ কিলোমিটার দূরের গ্রাম নওশারা সুলতানপুর। নদীভাঙা মানুষ এবং হাঁসের বাথানে কাজ করা লোকজনের বাস এখানে। মুঠোফোনে চার্জ দিতে হলেও নদী পার হয়ে বিলমারিয়ায় আসতে হতো তাঁদের। আর এখন সেখানে ৭০টি বিদ্যুৎসংযোগ। ৩০০ মিটার নদী পারাপার লাইন করে বিদুৎ পৌঁছে দিয়েছে সরকার।
জানা গেছে, শুধু আরইবি নয়, বিচ্ছিন্ন জনপদে বিদ্যুৎসুবিধা পৌঁছে দিতে কাজ করেছে আরও তিনটি বিতরণ কোম্পানি। সব মিলে দুর্গম চর ও দ্বীপের ১ হাজার ১৪৬টি গ্রামে গেছে বিদ্যুৎসংযোগ। এর মধ্যে সবার আগে বিচ্ছিন্ন জনপদ সন্দ্বীপে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর কাজ শুরু করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। ২০১৮ সালে সাগরের তলদেশে ১৬ কিলোমিটার সাবমেরিন কেব্ল স্থাপন শুরু করে পিডিবি। ২০২০ সালের নভেম্বরে সন্দ্বীপে বিদুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
বর্তমানে বিদ্যুৎ ছাড়া জীবনযাপন একেবারেই সম্ভব নয়। অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে বিদ্যুৎ। তাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সুনিশ্চিত করা না গেলে কোনো ধরনের উন্নয়নই সম্ভব নয়। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে কিছু সংগঠন ও ব্যক্তি সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে। তাদের অভিযোগ কতটা সত্য এবং সকল সমালোচনাকে তুচ্ছ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সিদ্ধান্ত কতটুকু যৌক্তিক ও সময়োপযোগী ছিল তা সময়ই বলে দেবে আমাদের। মনে রাখতে হবে একটি রাষ্ট্র এবং একটি জাতিকে নেতৃত্ব দিতে হলে নেতাকে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও স্বপ্নবান হতে হয়। শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্ন দেখান না, সে স্বপ্নকে কীভাবে বাস্তবায়িত করবেন তা তিনি জানেন। জানেন বলেই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেল ইত্যাদির মতো প্রকল্পগুলো শুরু করেছেন এবং শেষ করতে যাচ্ছেন। বাঙালি নিজেদের বড় ভাবতে শিখলে তবেই শেখ হাসিনাকে মূল্যায়ন করতে পারবে।
লেখক : কবি-সাংবাদিক











