বিশ্বজোড়া তরিক্বতের সোনালী সোপান হযরত গাউছুল আজমের তরিক্বত। এ তরিক্বতের রাহবার, যুগের গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন বর্তমান বিশ্বের যুগ শ্রেষ্ঠ কালজয়ী মনীষী ও যুগের শ্রেষ্ঠ গাউছুল আজম এবং খলিফায়ে রাসুল (দ.)।
গত শুক্রবার আমিরাতের আজমান ইন্টারন্যাশনসাল উইনার্স ক্লাবে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখাসমূহের উদ্যোগে সালানা ওরছে হযরত গাউছুল আজম (রা.) ও জামানার রাবেয়া বসরী রুহানী আম্মাজানের (রা.) ফাতেহা উপলক্ষে মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন কাগতিয়া আলিয়া গাউছুল আজম দরবার শরিফের মহান মোর্শেদ আওলাদে রাসূল আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।
এর আগে আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি, বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইসহ সাতটি প্রদেশ থেকে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে ইন্টারন্যাশনসাল উইনার্স ক্লাব রূপ নেয় জনসমুদ্রে। ক্লাবের বিশাল এরিয়াজুড়ে মাহফিলস্থলে কোথাও ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই।
প্রধান অতিথি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে আমিরাতের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় এই মাহফিল করার সুযোগ করে দেওয়ায় দুবাইসহ আমিরাতের সাতটি প্রদেশের শাসকদের ধন্যবাদ প্রদান ও তাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দুবাই কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ হারুন এম আজাদের সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মদ মাহাবুবুল আলম বোগদাদী, মুহাম্মদ নুরুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম-সহ আমিরাতের বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের দোহা ও সালতানাত অব ওমান শাখা সমূহের তরিক্বত পন্থিরা আমিরাতে অনুষ্ঠিত এ মাহফিলে লাইভে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। প্রবাসীদের বিশেষ অনুরোধে বাংলাদেশ থেকে আমিরাতে এসে বিশ্ব মুসলিমকে ধন্য করায় প্রধান অতিথির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আমিরাত প্রবাসীরা। ধর্মীয় এই বৃহৎ জমায়েত আমিরাতে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত আমিরাতের কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।