প্রত্যেক মানুষ তার স্বাধীন সত্তা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং স্বাধীনভাবে বাঁচতে চায়। এটা তার জন্মগত অধিকার। এই অধিকার যখন অন্যের দ্বারা লুণ্ঠিত হয় তখনই সে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। সেই দ্রোহ থেকে সচেষ্ট হয় নিজ স্বাধীনতা এবং স্বদেশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে। তাই স্বাধীনতা শব্দটির তাৎপর্য গভীর ও ব্যাপক। স্বাধীনতা মানে ইচ্ছের স্বাধীনতা, রাজনীতির স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি। একটি দেশের স্বাধীনতা সেদিনই সার্থক হয় যেদিন দেশের আপামর জনগণ প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক পরিবেশে, নিজেদের নাগরিক অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা অর্জন করে।
ইতিহাসে আজ এটা স্পষ্ট যে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পৃথিবীর মানচিত্রে একটি দেশের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়, সেই দেশেটির নাম বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের এই দিবসটিকে ঘিরেই রচিত হয়েছে ‘স্বাধীনতা’। এ কারণে ওই দিন আমরা পালন করি স্বাধীনতা দিবস, বাঙালি জাতির সংগ্রামমুখর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। আজ থেকে ৫২ বছর আগে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতি এই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম লাভ করে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্র।
এ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে- বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের স্বপ্ন বীজ বপন করা হয়ে ছিল মূলত সেই ১৯৪৭ সালে। ৪৭ পরবর্তীতে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা দিতো ক্রমাগত শোষণ, নিপীড়ন, বৈষম্যমূলক আচরণ, ন্যায্য অধিকার প্রদানে অস্বীকৃতি বাঙালির আন্দোলনের যাত্রাকে ত্বরান্বিত হয়ে ছিল। বাঙালি জাতি কখনও থেমে থাকেনি। মহান ভাষা আন্দোলন, ৫৪ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০- এর নির্বাচনসহ দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতি ৭১ সালে এসে উপনীত হয়। আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এমন সংগ্রাম ১৯৭১ সালে এসেই যেন অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠেছিল। অতএব বাঙালিরা অনিবার্য মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছিল বাংলা ভূখণ্ড। ১৯৭১ সালে মার্চ ছিল- উত্তাল, উত্তেজনায় ভরপুর এবং অনেক ভয়ংকর। ২৫ মার্চ রাতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে খুব দ্রুত পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। আর গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পাকিস্তানিদের উদ্দেশ্যে ছিল বাঙালি জাতিকে খতম করে দেওয়া। এশিয়া টাইমসের ভাষ্য অনুযায়ী বলাই যায় যে, ‘ওহফরধহং ধৎব নধংঃধৎফং ধহুধিু.’ সামরিক বাহিনীর বড় বড় অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে ইয়াহিয়া খান ঘোষণা করেন- ‘তিরিশ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা কর, তখন দেখবে তারা আমাদের হাত চেটে খাবে।’ সেই পরিকল্পনা মতোই ২৫ মার্চের ভয়াবহ কালো রাতে পাকিস্তানি আর্মিরা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ আরম্ভ করে, যার উদ্দেশ্য হয়েছিল-বাঙালির প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেওয়া। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার সমস্ত মানুষ পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক স্বৈরশাসনের গ্লানি থেকেই মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছিল। লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তে রাঙানো স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়েছে। তাই এ দেশের জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবস সবচাইতেই গৌরবময় এবং পবিত্রতম দিন।
বিভিন্ন জাতির স্বাধীনতার অভিজ্ঞতা থেকেই প্রতীয়মান হয় যে, স্বাধীনতা অর্জন করা কঠিন হলেও তাকে রক্ষা ও ফলপ্রসূ করার কাজটাও অনেক কঠিন। তাই মিল্টন বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা মানুষের প্রথম এবং মহান একটি অধিকার। সেই অধিকারের জায়গাতেই মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা থাকতে হবে।’ কাজেই উন্নয়নের প্রতি সকল মানুষের সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। তবেই তো স্বাধীনতার মূল্যায়ন হবে। এদেশের স্বাধীনতার মর্যাদা সকল জাতিকেই ধরে রাখতে হবে। আর তাকে রক্ষা কিংবা সুসংহত করার জন্যই জাতীয় জীবনে অনেক গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। ঠিক বঙ্গবন্ধু যেমনটি স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই লক্ষেই পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দ্য ডনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদ এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রীর ইনস্টিটিউশনাল রিফর্মস অ্যান্ড অস্টারিটি উপদেষ্টা ইশরাত হুসাইন বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় আয় বেড়েছে ৫০ গুণ আর মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২৫ গুণ, যা ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। দেশটির খাদ্য উৎপাদনও বেড়েছে চার গুণ। রপ্তানি বেড়েছে শত গুণ। বেশির ভাগ সামাজিক সূচক আঞ্চলিক দেশগুলোর তুলনায় বেশ ভালো। দেশটির মানব উন্নয়ন সূচকের মান বেড়েছে ৬০ শতাংশ। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ দারিদ্র্য ছিল। তা কমে এখন ২০ শতাংশে নেমেছে। গড় আয়ু বেড়ে ৭২ বছর হয়েছে। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সিপিডি সমপ্রতি বলেছে, ‘বাংলাদেশ এখন তার স্বাধীনতার ৫০ বছরে দাঁড়িয়ে। একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ এই সময়ের মধ্যে যেভাবে অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে উন্নতি লাভ করেছে এক কথায় সেটি একটি মিরাকল। ’
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫.৪৭ শতাংশ। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার পাকিস্তানের ৩.৫ শতাংশ এবং ভারতের ৫ শতাংশ। বাংলাদেশের শিক্ষার হার ৭৫.৬০ শতাংশ। পাকিস্তানের শিক্ষার হার ৫৯.১৩ শতাংশ এবং ভারতের ৭৪.৪ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পাকিস্তানের ২০ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের ৪৫ বিলিয়ন ডলার।
দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা নাগরিক ভারতে ২১.৯ শতাংশ, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সমান ২৪.৩ শতাংশ। ক্ষুধা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৪৩ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের সেখানে ২৩ বিলিয়ন ডলার। গ্রস সেভিংস জিডিপির ক্ষেত্রে শীর্ষে বাংলাদেশ ৩৩.৩ শতাংশ। ভারত ৩১.১ শতাংশ এবং পাকিস্তান ১৯.৩ শতাংশ। ২০২১ সালে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১১৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৬তম। অন্যদিকে এই সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ৯২ এবং ভারতের অবস্থান ১০১তম।
উপরোল্লেখিত তথ্য থেকে বলা যায়, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এখন পুরো বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত। এর নাম অদম্য বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশকে। এরই মাঝে আমরা পালন করেছি বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতার শতততম জন্মবার্ষিক। বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন সোনার বাংলার স্বপ্ন, চেয়েছিলেন মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি; গড়তে চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ। বাস্তবে সেসব লক্ষ্যে পূরণে আমরা সফলতার দিকে যাচ্ছি। আর এ অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী ও অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে। তাঁর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালেই অর্জন করেছে উন্নয়নশীল দেশের তকমা। করোনাকালেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশ বিজ্ঞানের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ ও সমপ্রচার উপগ্রহ। এর মধ্য দিয়ে ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অবস্থান করে নিয়েছে। শত ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১২৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ২১,৬২৯ হাজার মেগাওয়াট। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে। চার-লেন, ছয়-লেন ও আট-লেন জাতীয় মহাসড়ক, উড়াল সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেরিন ড্রাইভ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের মাধ্যমে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কৌশলগত গুরুত্ব বিবেচনায় কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দেশের মেগাপ্রকল্পগুলো চালু হলে বিশ্ব দেখতে পাবে অন্য এক বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সুদক্ষ, সৃজনশীল ও সাহসী নেতৃত্বের ফলেই এসব সম্ভব হয়েছে। তাঁর পরিশ্রমে গড়া বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ইতিহাসে উন্নয়নের রোল মডেল ও সম্ভাবনার অপার বিস্ময়কর একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ।
স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল শোষণ, বৈষম্য, অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত একটি সুখীসমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জন ও অসামপ্রদায়িক, কল্যাণমুখী, মানবিক, প্রগতিশীল স্বতন্ত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। এছাড়াও মানুষের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়সংগত অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। তাই স্বাধীনতা যে কোনো জাতির পরম আকাঙ্ক্িষত বিষয়। আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার লাভ, গণতান্ত্রিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা, ন্যায়নীতিভিত্তিক সমাজ গঠন, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন, জানমালের নিরাপত্তা বিধান, ধর্ম পালন, নিজস্ব সংস্কৃতি-মূল্যবোধ-বিশ্বাসের অবারিত চর্চা নিশ্চিত করা ইত্যাদি সাধারণ জাতীয় আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিটি জাতির জন্য অপরিহার্য। সুতরাং জাতীয় জীবনে স্বাধীনতার তাৎপর্য অপরিসীম। এ দিনটি বাঙালির জীবনে বয়ে আনে আনন্দ-বেদনার অম্ল-মধুর অনুভূতি। একদিকে হারানোর কষ্ট অন্যদিকে প্রাপ্তির আনন্দ। তাই স্বাধীনতার অর্জন যাতে কোনোভাবেই ম্লান না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত। মহান স্বাধীনতা দিবস শুধু স্মৃতিচারণ নয়, জাতির জীবনে স্বাধীনতা অর্থবহ, তাৎপর্যময় করে তোলার পাশাপাশি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে শপথ গ্রহণের দিনও। স্বাধীনতা অর্জন যত কঠিন, স্বাধীনতা রক্ষা করা তার চেয়ে বেশি কঠিন। চলমান বিশ্ব প্রেক্ষাপট এবং আমাদের বাস্তবতায় এই বিষয়টি নানাভাবে বিবেচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। জাতির স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব।
দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে অস্তিত্বময় হয়েছে বাংলাদেশ। জাতির বীর সন্তানদের মরণপণ লড়াই, অসংখ্য আত্মদান ও গোটা জাতির অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়। তাই আজ এই দিনে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করে বাস্তবে রূপ দান করবো। সকল অপশক্তি রোধ করে স্বাধীনতার সুফল উন্নয়নের এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব-এই হোক স্বাধীনতা তথা জাতীয় দিবসে আমাদের অঙ্গিকার।
লেখক : কথাসাহিত্যিক। উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যিালয়