অন্তত অর্ধশত বছর বয়সী বেশ কয়েকটি গাছ কেটে উজাড় করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সরকারি প্রতিষ্ঠানটির বহদ্দারহাট (ওয়াপদা কলোনি হিসেবে পরিচিত) অফিস এলাকায় থাকা এসব গাছ কয়েকদিন আগে কেটে ফেলে রাখা হয়েছে।
বহদ্দারহাট থেকে ওয়াপদা কলোনির পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের সামনে দিয়ে ফরিদা পাড়ার দিকে যাওয়া সড়কের বাঁ পাশে বিশাল আকৃতির এসব গাছ দাঁড়িয়ে ছিল। পাশেই ওয়াপদা কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এসব গাছ ডাল-পালা ছড়িয়ে বছরের পর বছর ধরে ছায়া দিয়ে যাচ্ছিল। এমন বেশ কয়টি গাছ গোড়া থেকেই কেটে ফেলা হয়েছে। নিলামের মাধ্যমেই এসব গাছ কাটা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কেটে রাখা এসব গাছের টুকরো বেশ কয়দিন ধরে রাস্তায় পড়ে আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (চট্টগ্রাম পওর সার্কেল) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর আজাদীকে বলেন, বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলী-১ এর এখতিয়ারে। নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথেই কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির সীমানা দেয়াল ঘেঁষে থাকা দুটি গাছ কাটা হয়েছে জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (চট্টগ্রাম পওর বিভাগ-১) তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, গাছগুলো বিদ্যুতের তারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এটা নিয়ে পিডিবি থেকে আমাদের বারবার বলা হচ্ছিল। আমরা ১২-১৩ বার নিলাম ডেকেছি। শেষ পর্যন্ত এবার কাটা সম্ভব হয়েছে।
গাছগুলো শিকড় থেকে উপড়ে পড়ার ঝুঁকি ছিল দাবি করে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, গাছগুলোর জন্য আমাদের সীমানা দেয়ালেও ফাটল ধরছিল। মূলত ঝুঁকির কারণেই গাছ দুটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই।
তবে নির্বাহী প্রকৌশলীর দাবি অনুযায়ী গাছগুলোর শিকড় উপড়ে পড়ার মতো অবস্থায় দেখা যায়নি। তাছাড়া বিদ্যুতের তারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হলে গাছের ডালপালা কাটলেই চলতো বলে দাবি স্থানীয়দের। কিন্তু ডালপালার পরিবর্তে গোটা গাছ উজাড় করার বিষয়টি মানতে পারছেন না তারা।









