মুজিব শতবর্ষে দেশব্যাপী শতভাগ বিদ্যুতায়ন উপলক্ষে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও দিনটি বর্ণিল আনন্দে উদযাপন করা হয়েছে। নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোক প্রক্ষেপণসহ (ফায়ার ওয়ার্কস ও লেজার শো) নানান অনুষ্ঠানমালা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে প্রথম সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেন। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা উপলক্ষে চট্টগ্রামসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে দিনটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোক প্রক্ষেপণের মাধ্যমে উদযাপনের আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর পলোগ্রাউণ্ড মাঠে বিকাল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রামের সংসদ সদস্যগণ, নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবীসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত হন। এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অডিও ভিজুয়াল প্রদর্শনী, থিম সং এবং প্রধানমন্ত্রীর ধারণকৃত ভাষণ প্রদর্শন, দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোজার লাইটিং ও সাউন্ড শো, আলোক প্রক্ষেপণ (ফায়ার ওয়ার্কস) এবং রাত ৮টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন, পুলিশ সুপার এবং পিডিবি চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী।
চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্য শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ লেজার শো অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার পরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালীর পায়রাতে দেশের সর্ববৃহত্তম কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা করেন।












