মাদরাসা শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর

বাঁশখালী প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২২ মার্চ, ২০২২ at ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল বর্মোত্তর পাড়া বায়তুর রহমান মুহাম্মদিয়া মদিনাতুল উলুম মাদরাসার নুরানী বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ওই মাদরাসার এক শিক্ষক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করে। ছাত্রের নাম হোজাইফাতুল ইসলাম জাবেদ (৫)।
গত ২০ মার্চ সকালে এই ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রকে বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। আহত শিশুর পিতা মোহাম্মদ শাহজাহান অভিযোগ করে বলেন, রোববার সকালে মাদরাসায় পড়া শেষে অন্যদের সাথে দুষ্টামি করে আমার ছেলে। শিশুর দুষ্টামি করার অপরাধে ওই মাদরাসার মাওলানা কলিম উল্লাহ নামে একজন সহকারী শিক্ষক বেত দিয়ে শিশুকে মারধর করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, বাচ্চাকে বেধড়ক মারধরের কারণ জানতে চেয়ে মাদরাসা কমিটির সাথে কথা বলার সময় চড়াও হয়ে ওই হুজুর কেন অভিযোগ নিয়ে আসছি এই বলে আমাকে ঘুষি মারে, আমার বোনকে ধাক্কা মারে। বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. দিদারুল হক বলেন, ওই ছাত্রের হাত ও পিঠে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন সে আশঙ্কামুক্ত। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সম্পাদক আব্দুল হক বলেন, ঘটনার পর চেয়ারম্যান বিচার করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। গতকাল সোমবার থেকে সে আর চাকুরি করতে মাদ্রাসায় আসেনি। এ ব্যাপারে চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, আহত শিক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে ডেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং এ ধরনের আচরণ করলে চাকুরি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরে ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএ বড় বেদনার গল্প
পরবর্তী নিবন্ধসাংগঠনিক ক্ষমতা হারাল নগর বিএনপি