ক্লিংকারবাহী জাহাজডুবি ৪ নাবিক নিখোঁজ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২০ মার্চ, ২০২২ at ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ

এক কোটি টাকার ক্লিংকার নিয়ে ডুবে যাওয়া একটি লাইটারেজ জাহাজের চার নাবিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। গত শুক্রবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজডুবির ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। তাদের মধ্যে ৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে বন্দর সূত্র জানিয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সূত্র জানায়, আবুল খায়ের গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি টিটু-১৪ নামের লাইটারেজ জাহাজটি এক কোটি টাকারও বেশি দামের ১৪শ টন ক্লিংকার বোঝাই করে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। বে টার্মিনালের জায়গার বিপরীতে আলফা এ্যাংকরেজে অবস্থানকারী জাহাজটিকে রাত ৩টা নাগাদ অপর একটি লাইটারেজ জাহাজ ধাক্কা দেয়। এতে জাহাজটি সাগরে তলিয়ে যায়। এমভি টিটু-১৪ জাহাজে ১৩ জন নাবিক ছিলেন। এদের একজন ছুটিতে ছিলেন। জাহাজে ছিলেন ১২ জন। এদের মধ্যে ৬ নাবিককে তাৎক্ষণিকভাবে
উদ্ধার করা হয়। বাকি ৬ জন নিখোঁজ হন। তাৎক্ষণিকভাবে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের হদিশ মিলেনি। পরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ টাগবোট দিয়ে নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। গতকাল এদের মধ্যে দুইজনকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু গত রাত পর্যন্ত ৪ জন নাবিক নিখোঁজ রয়েছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা জানান, জাহাজটি কেন ডুবে গেল সেটি স্পষ্ট নয়। একটি জাহাজ ধাক্কা দিয়েছে বলা হলেও কোন জাহাজ ধাক্কা দিয়েছে তার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী নেই। আদৌ কোনো জাহাজ ধাক্কা দিয়েছে কিনা তাও অনিশ্চিত। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বন্দরের সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোস্তাহিদুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
জাহাজটি পুরোপুরি তলিয়ে গেছে। দুর্ঘটনাস্থল মার্কিং করে দেয়া হয়েছে। তবে এটি বন্দরের জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে না বলে জানিয়েছেন বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচলন্ত মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে ট্রাকের ধাক্কা
পরবর্তী নিবন্ধসাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের ইন্তেকাল