চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও টাকা লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) খালেদ মিসবাহুল মোকর রবীন ও হিসাব নিয়ামক দপ্তরের কর্মচারী আহমেদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার বরখাস্তের এ আদেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান আজাদীকে বলেন, তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়। তারা শোকজের জবাব দিয়েছেন। তদন্তও চলছে।
জানা যায়, চবির ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে নানা অভিযোগ উঠে। অভিযোগের পর অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত পাঁচটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। এর মধ্যে একটি ফোনালাপে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে উপাচার্যের পিএসকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়। অপর একটি ফোনালাপে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষ ব্যক্তিদের ম্যানেজ করতেই উপাচার্যের টাকার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী।
এ ঘটনায় উপাচার্যের পিএসকে অপসারণ করে পূর্বের কর্মস্থলে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।