প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের আগেই। এবার রানার্স আপ হওয়ারা সম্ভাবনাটুকুও শেষ হয়ে গেল। গতকাল পাইরেটস অব চিটাগাং এর সামনে এক রকম খড় খুটোর মতো উড়ে গেল শক্তিশালী ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৭৯ রানের লজ্জার পাশাপাশি ৮ উইকেটের হারের লজ্জা যোগ করে সব হারাতে হয়েছে ব্রাদার্সকে। গতকাল জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাইরেটস অব চিটাগাং। এই জয়ের ফলে রানার্স আপ হওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল পাইরেটস। আগেই এক ম্যাচ হাতে রেখে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে আবাহনী। গতকালের ম্যাচে ব্যাট হাতে চরম লজ্জা পেয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। পাইরেটসের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ৭৯ রানে অল আউট হয়ে যায় ব্রাদার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই পাইরেটসের পেসার ইফরান হোসেনের বোলিং তোপের মুখে পড়ে ব্রাদার্সের ব্যাটাররা। ৯ রানে প্রথম উইকেট হারানো ব্রাদার্স ২৭ রানে হারায় ৫ উইকেট। ইফরানের ঝড়ের পর রুবেল, সবুজরা মিলে উইকেটে দাঁড়াতে দেয়নি ব্রাদার্সের কোন ব্যাটারকে। তিনজন ব্যাটার কেবল দুই অংকের ঘরে যেতে পেরেছেন। ফলে ৩৩ ওভার খেললেও ৭৯ রানে অল আউট হয় ব্রাদার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন ওবায়দুল। ১৬ রান আসে নাইমুলের ব্যাট থেকে। আর ১২ রান করেন মারুফ। পাইরেটস অব চিটাগাং এর পক্ষে ২৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ব্রাদার্সের ব্যাটিং মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেন ইফরান। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সবুজ এবং রুবেল। ৮০ রানের সহজ লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় পাইরেটস। ৬ রানের মাথায় ফিরেন আরমান উল্লাহ। আহমেদ এবং কামরুল মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৩৩ রান। ১৬ বলে ১৫ রান করে ফিরেন আহমেদ। এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তোলে দলকে দ্রুতই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আসিফ এবং কামরুল। কামরুল ২৪ বলে ১২ রান করলেও আসিফ ২৬ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৬টি চার এবং ২টি ছক্কা মেরেছেন। মাত্র ১১.৫ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাইরেটস। ব্রাদার্সের পক্ষে ২টি উইকেট নেন আরমান। এই জয়ের ফলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাদার্সের কাছে হারের প্রতিশোধ নিল পাইরটেস অব চিটাগাং। খেলা শেষে ম্যান অব দি ম্যাচ পাইরটেস অব চিটাগাং এর ইফরান হোসেনের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেন সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার সুলতানুল আবেদীন চৌধুরী।