১৪৫ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দুইটি শক্তিশালী টাগবোট কিনছে। বন্দরে জাহাজ ও পণ্য হ্যান্ডলিং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি-রফতানি কাজে নিয়োজিত বিদেশি জাহাজগুলোকে নিরাপদে বার্থিং, আনবার্থিং ও শিফটিং কাজে সহায়তার জন্য এই টাগবোট দুইটি কেনা হচ্ছে। ৫০০০ বিএইচপি/৭০ টন বোলার্ড পুলের টাগবোট দুটি আগামী জুনে চট্টগ্রাম বন্দরের নৌ বহরে যুক্ত হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বন্দরের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সীলয় লী শিপইয়ার্ড লিমিটেডের লোকাল এজেন্ট ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজর (অব.) মো. সেরাজুস সালেকিন, নির্বাহী পরিচালক মো. মহিবুল্লাহ মোর্শেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, উপ-সংরক্ষক ক্যাপ্টেন মো. ফরিদুল আলম, সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক, হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল ইসলাম, ডক মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. আবু সুফিয়ান, প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. রফিকুল আলম, আইন কর্মকর্তা মুনতাসির আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মোস্তাহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তুলনামূলক বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধা সৃষ্টি করা, চট্টগ্রাম বন্দর/মহেশখালী/কুতুবদিয়া এলাকায় গৃহীত প্রকল্প ও জেটিগুলোতে অধিক সংখ্যক বড় জাহাজ বার্থিং, আনবার্থিং এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে শক্তিশালী দুইটি টাগবোট সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
টাগবোট দুইটি সংগ্রহের মধ্য দিয়ে বড় বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর নিরাপদ বার্থিং, আনবার্থিং সহায়তা প্রদান, নতুন বাস্তবায়নাধীন বে-টার্মিনাল এবং মহেশখালী, কুতুবদিয়া এলাকার মাতারবাড়ী টার্মিনালের অপারেশনাল কাজে সহায়তা প্রদান, চট্টগ্রাম বন্দরে আগত জাহাজগুলোর নিরাপত্তা সহায়তা বৃদ্ধিকরণ, বহির্নোঙর এবং সমুদ্র এলাকায় রেসকিউ কার্যক্রম পরিচালনা করা, বাণিজ্যিক জাহাজে অগ্নিনির্বাপণ সহায়তা প্রদান, নদী ও পরিবেশ দূষণবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করা, বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সহায়তা প্রদান করা, কর্ণফুলী চ্যানেলের নৌ-সংরক্ষণে সহায়তা প্রদান করা ইত্যাদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির টাগ চবক নৌ বহরে যুক্ত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যা ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এই দুইটি টাগবোট বন্দরের রাজস্ব আদায়ে বিশাল অবদান রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।