শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, যৌতুক দেয়া-নেয়া এবং মাদককে সবাই ঘৃণা করে। তবুও যৌতুক ও মাদকের আভিশাপ থেকে নিষ্কৃতি মিলছেনা। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। যৌতুক ও মাদকবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে ইনসাফভিত্তিক মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই সরকারের বড় লক্ষ্য। সরকারের নানা পদক্ষেপের পাশাপাশি আলেম সমাজসহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যৌতুক প্রথা ও মাদককে দেশ ও সমাজ থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে।
রজভীয়া নূরীয়া কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে ১৩তম যৌতুক ও মাদকবিরোধী মহাসমাবেশ, গুণীজন সংবর্ধনা এবং বর্ণাঢ্য র্যালি গতকাল শনিবার দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। রজভীয়া নূরীয়া কমিটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কাউছার হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১ম অধিবেশন যৌতুক ও মাদকবিরোধী মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী নওফেল উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। মহাসমাবেশে সহস্রাধিক তরুণ যুবক যৌতুক ও মাদককে সমস্বরে ‘না’ বলেন।
মহাসমাবেশে উদ্বোধক ছিলেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন সৈয়্যদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। মহাসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মুহাম্মদ জাহিদুল হাসান রুবায়েত এবং সদস্য সচিব মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরীর যৌথ সঞ্চালনায় মূখ্য আলোচক ছিলেন আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট ও আহলে সুন্নাত ওয়াল আমা’আত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা মুহাম্মদ আবুল কাশেম নূরী (মু.জি.আ)। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম কলেজ রসায়ন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান নু.ক.ম আকবর হোসেন এবং বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. মাসুম চৌধুরী। করোনাকালীন রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে মানবিক কাজে অবদান রাখায় সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী এবং করোনা প্রতিরোধক বুথ উদ্ভাবক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল, আল্লামা মাসউদ হোসাইন আলকাদেরী, মহিউদ্দিন লতিফী, এম এ মতিন, কাযী মুহাম্মদ আবুল ফোরকান হাশেমী, সাদেকুর রহমান খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মোহাম্মদ মিঞা জুনাইদ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












