মুরগির ভ্যাকসিন নেই একমাস বিপাকে খামারিরা

সীতাকুণ্ড পশু হাসপাতাল

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | বুধবার , ৯ মার্চ, ২০২২ at ৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ

একমাস ধরে হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন নেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে। ভ্যাকসিন না পেয়ে প্রতিদিন খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা। অনেকেই বাধ্য হয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি দামে বেসরকারি উৎস থেকে ভ্যাকসিন কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
জানা গেছে, রানীক্ষেত ভাইরাসজনিত মুরগির এক প্রকার মারাত্মক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত মুরগিদের শতকরা ৯০ ভাগই মারা যায়। তাই প্রতিরোধক হিসেবে নির্দিষ্ট বয়সে ছানাদের ভ্যাকসিন দিতে হয়। ৬ দিন বয়সী ছানাদের এক ডোজ ও ২১ দিন বয়সী ছানাদের ২য় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
প্রান্তিক পর্যায়ের ছোটখাট খামারি ও গৃহস্থালী পর্যায়ে যারা অল্প পরিমাণে মুরগি পালন করে তাদের কথা বিবেচনা করে সরকার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে রানীক্ষেতের ভ্যাকসিন সরবরাহ করে। প্রতি ১শ ছানার ভ্যাকসিনের সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৫ টাকা। যা বাইরে বেসরকারিভাবে ২ থেকে ৩শ টাকায় বিক্রি হয়। এই অবস্থায় প্রাণী সম্পদ অফিসে ভ্যাকসিন না পেয়ে অনেকে বাইরে থেকে অতিরিক্ত দামে ভ্যাকসিন কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
অনেকে আবার সরকারি ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছেন। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে ভ্যাকসিনের জন্য আসা মোর্শেদা আফরোজ বলেন, বারবার এসে ভ্যাকসিন না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি। বাড়িতে ৩০টা মুরগি পালন করি আমি। সরকারিভাবে ১৫ টাকার ভ্যাকসিন বাইরে থেকে ৩শ টাকায় নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কর্তৃক চাহিদাপত্র দিতে দেরি করার কারণে ভ্যাকসিন সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রাণী সম্পদ অফিসের ড্রেসার সুব্রত বলেন, জেলা অফিসে ভ্যাকসিন আছে। আমাদের অফিস থেকে চাহিদাপত্র না দেওয়ায় ভ্যাকসিন আনা যায়নি। তবে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তাহামিনা আরজু বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, চাহিদা থেকে সরবরাহ কম হওয়ায় ভ্যাকসিন সংকট দেখা দেয়। দুয়েক দিনের ভিতর ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএমপি মোছলেমের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নানা আয়োজন