চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ হল রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর কাব্যমালার অনন্য নিদর্শন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছিল তা নয়, বরং এ ভাষণ যুগে যুগে বিশ্বের সব অবহেলিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী জাতি গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা যোগাতে থাকবে। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ঐতিহাসিক এ ভাষণকে বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও এ ভাষণের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসনের আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে প্রদত্ত ভাষণের দিনটিকে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু। আলোচনা সভা শষে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। তাছাড়া ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ডকুমেন্টারি, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, ভাষণ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ সারাদিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে জেলা প্রশাশন।