অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকির (পলাতক) বিরুদ্ধে কর কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরো ৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন, মো. ওয়াহিদুর ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম, কামরুল হাসান, মোরশেদ আলম, হাসিনা আক্তার ও শিবানী শর্মা। গতকাল রোববার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদের কাছে তারা এ সাক্ষ্য দেন। স্পর্শকাতর এ মামলায় এ নিয়ে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এর আগে মামলার বাদী মো. রিয়াজুদ্দিন, চট্টগ্রাম কর অঞ্চলের উপ কর-কমিশনার হারেছ আহমেদ, অফিস সহকারী মো. শওকত আলী ও কর অঞ্চল-৩ এর উচ্চমান সহকারী মো. আবুল কালাম আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ২১ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ মামলায় স্ত্রীর পাশাপাশি প্রদীপও আসামি। মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তার পক্ষে করা একটি আবেদন উচ্চ আদালতে শুনানির জন্য থাকায় তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আপাতত বন্ধ রয়েছে।
আদালতসূত্র জানায়, গত বছরের ২৩ আগস্ট দুর্নীত দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজউদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশে একে অপরের সহযোগিতায় অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পদ জ্ঞাতসারে ভোগ দখলে রেখেছেন।