চন্দনাইশে চুলার আগুনে ৬ ঘর পুড়ে ছাই

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | শনিবার , ৫ মার্চ, ২০২২ at ৭:৪১ অপরাহ্ণ

চন্দনাইশে রান্নার চুলা থেকে সৃষ্ট আগুনে ছয়জনের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এসময় এক গৃহস্থের ৩টি গবাদি পশু (ছাগল) পুড়ে মারা যায়। এতে কমপক্ষে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।

আজ শনিবার(৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বরমা মাইগাতা নিমখালী সংলগ্ন দয়াল দে’র বাড়িতে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে পুড়ে যাওয়া যেকোনো একটি বাড়ির রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় আগুন পাশাপাশি অবস্থিত সুমন দে, সুজন দে, লিটন দে, ছোটন দে, রঞ্জিত দে ও অঞ্জলি দে’র বসতঘর গ্রাস করে ফেলে।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চন্দনাইশ দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই ৬টি বসতঘরে রক্ষিত নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, মূল্যবান কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

যুবলীগ নেতা কৃষ্ণ চক্রবর্ত্তী জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে লিটন দে’র ৩টি গবাদি পশু (ছাগল) ও সুমন দে’র নগদ ২ লাখ টাকা পুড়ে যায়। এতে ক্ষতির পরিমাণ ১৫ লক্ষাধিক টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।

চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর স্টেশন কর্মকর্তা মো. শাহ আলম খান বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমরা পানি ছিটিয়ে অনেকক্ষণ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ধারণা করা হচ্ছে রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে ৬ জনের ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম ঘটনাস্থলে যান এবং ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারে ১০ কেজি করে চাউল ও ২টি করে কম্বল বিতরণ করেন। পরবর্তীতে সরকারিভাবে আরো সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।

এর আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম টিটু ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভোজ্যতেলের দাম না বাড়ালে ব্যবসায়ীরা আমদানি করবে না
পরবর্তী নিবন্ধমহসিন কলেজে ছাত্রলীগের ভাঙচুর