চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ সুপার লিগে আবাহনী, ঝুলে আছে বন্দর

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ৫ মার্চ, ২০২২ at ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার ফোর পর্ব নিশ্চিত করেছে আবাহনী লিঃ। তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি একাদশের ভাগ্য এখনো ঝুলে আছে। গতকাল স্ব স্ব খেলায় জয় পেয়েছে দু দলই। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি ৪ উইকেটে পরাজিত করে আরেক অফিস দল সিটি কর্পোরেশন একাদশকে। জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের অপর ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী লিঃ ১১২ রানের বিশাল ব্যবধানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে পরাজিত করে সুপার ফোর পর্ব নিশ্চিত করে। লিগে এটি আবাহনীর টানা তৃতীয় জয়।
এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে সিটি কর্পোরেশন একাদশ। শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি সিটি কর্পোরেশনের। ৫ রানে প্রথম উইকেট হারানো সিটি কর্পোরেশন ৪৭ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট। এরপর দলের পক্ষে হাল ধরেন আশরাফুল ইসলাম রবিন এবং শাহাদাত হোসেন। দুজন মিলে ১১৬ রানের জুটি গড়েন। ৩৬ রান করা শাহাদাত ফিরলে ভাঙ্গে এজুটি। তবে দুর্ভাগ্য আশরাফুল ইসলামের। মাত্র দুই রানের জন্য এবারের লিগের প্রথম সেঞ্চুরির মালিক হতে পারলেননা আশরাফুল। ৯৮ রান করে ফিরেছেন তিনি। তার ১৪০ বলের ইনিংসটিতে ৭টি চার এবং ২টি ছক্কার মার ছিল। শেষ পর্যন্ত ১৮৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় সিটি কর্পোরেশন। দলের পক্ষে ১০ রান এসেছে আনোয়ার এবং মিনহাজের ব্যাট থেকে। বন্দর ক্রীড়া সমিতির পক্ষে ৩১ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেণ মনিরুল। ২টি উইকেট নিয়েছেন শাওন।
১৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বন্দর দলেরও। ১৮ রানে হারায় ২ উইকেট। এরপর সাব্বির এবং শাওন মিলে যোগ করেন ৪১ রান। ২৫ রান করে ফিরেন শাওন। জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার মার্শাল আইয়ুব এসেও ২৬ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে সাব্বির দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি করার পর ফিরেছেন তিনিও। ৮৮ বলে ৫৫ রান করে সাব্বির ফিরলেও তারেক-আবিরুজ্জামান মিলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন। রনি ২১, কামাল ২৮ এবং আবিরুজ্জামান করেন ২৩ রান। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন মনজুর আলম। লিগে এটি বন্দর দলের দ্বিতীয় জয়।
এদিকে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা আবাহনী শুরুটা মন্দ করেনি। ৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় আবাহনী। ১৫ রান করে ফিরেন সানজু। কিন্তু ৪৪ রানে পরপর দুই বলে দুটি উইকেট হারায়। রানের খাতা খোলার আগে ফিরেন ইমরান এবং বাপ্পা। এরপর মিনহাজ এবং মহিউদ্দিন মিলে যোগ করেন ২০ রান। ৩৩ রান করে ফিরেন মিনহাজ। তবে আবাহনী যে শেষ পর্যন্ত ২৩১ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে তা রিপন এবং রনি তালুকদারের ব্যাটে চড়ে। এদুজন ৭৬ রানের জুটি গড়ে তুলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৭৫ বলে ৬০ রান করেন রিপন। এছাড়া ৪১ বলে ৪৯ রান করেন রনি তালুকদার। ৪২ রান আসে মহিউদ্দিনের ব্যাট থেকে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের পক্ষে ৫৫ রানে ৫ উইকেট নেন শিপন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ইমন, রিফাত, রাব্বি এবং তাসামুল।
২৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭ রানে দুই ওপেনারকে হারায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। তৌহিদুল ইসলাম ফেরান দুজনকে। তৃতীয় উইকেটে ইশতিয়াক এবং তাসামুল মিলে যোগ করেন ৪৩ রান। কিন্তু এজুটি ভাঙ্গার পর তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়তে থাকে মুক্তিযোদ্ধার ব্যাটিং। ২৫ রান করে ইশতিয়াক এবং ২৭ রান করে ফিরেন তাসামুল। এরপর বাকিরা কেবলই আসা যাওয়া করেছে। শেষ দিকে তাহজিবুল ইসলামের ১৯ এবং রিফাতের ১৮ রান নাহলে শতরানও পার করতে পারতোনা মুক্তিযোদ্ধা। শেষ পর্যন্ত ৩৮ ওভারে ১১৯ রানে অল আউট হয় মুক্তিযোদ্ধা। আবাহনীর পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তৌহিদুল, মুন্না এবং শোয়েব। একটি করে উইকেট নিয়েছেন নোবেল, মিনহাজ এবং ইমরান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহ্যান্ডবল খেলোয়াড়দের পুনর্মিলনী উৎসব আজ
পরবর্তী নিবন্ধসুলতান উল কবির চৌধুরী স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে