বাংলাদেশের তরুণদের একটি স্বপ্নের প্ল্যাটফর্ম দৃষ্টি চট্টগ্রাম। তারুণ্যের মাঝে সুনাগরিক হয়ে ওঠার মূলমন্ত্রগুলো ছড়িয়ে দিতে দৃষ্টি চট্টগ্রামের স্বপ্নের ফেরিওয়ালারা কাজ করে যাচ্ছে বিগত ত্রিশ বছর ধরে। ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন কিছু দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠা। শুরুতে আবৃত্তি নিয়ে কাজ করলেও কালের পরিক্রমায় দৃষ্টি পরিণত হয়েছে একটি সৃষ্টিশীল সংগঠনে। স্বপ্নপূরণের এই গৌরবজনক পদযাত্রায় ৩০তম বর্ষ পেরিয়ে দৃষ্টি চট্টগ্রাম ৩১তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত আনন্দ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, কবি ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিজুর রহমান, এস এম আবু তৈয়ব, ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, রাশেদুল আমিন রাশেদ, সাফিয়া গাজী রহমান, সাঈফ চৌধুরী, ডক্টর আদনান মাননান, তানভির শাহরিয়ার রুমন, রুম্মান আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সারা দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিত একটি নাম দৃষ্টি চট্টগ্রাম, যা চট্টগ্রামের বিতর্ক অঙ্গনকে করেছে সমৃদ্ধ ও গৌরবান্বিত। প্রথম বিতর্ক উৎসব, প্রথম সংসদীয় ধারার বিতর্ক প্রতিযোগিতা, চট্টগ্রামে প্রথম বিতর্ক কর্মশালা, একমাত্র বিতর্ক স্কুল এবং ধারাবাহিকভাবে স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন- সবগুলোই দৃষ্টি চট্টগ্রামের হাত ধরে হয়েছে। দৃষ্টিই দেশের একমাত্র সংগঠন যা বিগত ৩০ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। দৃষ্টি চট্টগ্রাম বাংলা বিতর্ক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে আসছে। এছাড়াও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্যও নিয়মিতভাবে আয়োজন করে বিতর্ক প্রতিযোগিতার। তাঁরা বলেন, দৃষ্টি চট্টগ্রাম তরুণদের স্বপ্ন দেখানোর পাশাপশি নিজেদের নিয়েও স্বপ্ন দেখে। দৃষ্টি প্রমাণ করেছে তরুণদের ইতিবাচক স্বপ্ন দেখাতে পারলে তারা ঠিকই সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে ফেলবে। প্রয়োজন শুধু একটু অনুপ্রেরণা ও সঠিক পথ বাতলে দেয়া। দৃষ্টি সে কাজটি করে এসেছে এবং সামনের দিনগুলাতেও করে যাবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।











