স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গ্রেপ্তার, ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চকরিয়ায় বালিশ চাপায় গৃহবধূ হত্যা

চকরিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বালিশ চাপায় গৃহবধূকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা ভণ্ডুল হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোর্শেদ আলমকে (৪৮) গত শুক্রবার ভোররাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে ইয়াছমিন আক্তারকে বালিশ চাপায় হত্যার ঘটনায় গতকাল শনিবার সকালে থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। ইয়াছমিনের ছোট ভাই সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মোর্শেদ আলম এবং আরো তিনজনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলাটি রুজু করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মামাতো ভাই মোয়াজ্জেম হোসেনের অনুপস্থিতির সুযোগে তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তারকে (৩৫) হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল ফুফাতো ভাই ঘাতক মোর্শেদ আলম। হত্যাকাণ্ডের পর পরই পুলিশ মোর্শেদ আলমকে ধরতে অভিযান শুরু করে। অবশেষে শুক্রবার ভোররাতেই মোর্শেদ আলমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের কিল্লার পূর্ব পাড়া এলাকার মোহাম্মদ কালু সওদাগরের ছেলে মোর্শেদ হারবাং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বলে নিশ্চিত করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, বালিশচাপায় শ্বাসরোধে ইয়াছমিনকে হত্যার ঘটনার মূলহোতা মোর্শেদ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তবে কেন ইয়াছমিনকে হত্যা করেছে তা বের করাসহ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করার সুবিধার্থে আদালতে রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ। গ্রেপ্তার মোর্শেদকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার রাত দশটার পর হারবাং ইউনিয়নের মুসলিম পাড়াস্থ মোয়াজ্জেমের (সে বর্তমানে ঢাকায়) বাড়ির মেঝে থেকে ইয়াছমিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ইয়াছমিনকে হত্যার পর লাশ বাড়ির চালার বিমের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় লোকজন ইয়াছমিনের লাশ নামিয়ে মাটিয়ে শুঁইয়ে দিয়ে পুলিশে খবর পৌঁছায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউএনও-টিএইচওর অপসারণে মেয়রের আল্টিমেটাম
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেনের চীনা পোড়ামাটি রণনীতি