টিসিবির ন্যায্যমূল্যের নিত্যপণ্য বিক্রি বন্ধ হচ্ছে আজ থেকে

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:১০ পূর্বাহ্ণ

নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিরতার এই মূহূর্তে হঠাৎ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে চট্টগ্রামে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের নিত্যপণ্য বিক্রি কার্যক্রম। আজ শনিবার থেকে চট্টগ্রামে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। চাল-তেলসহ প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনের কিছুটা স্বস্তি ছিল টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্যে। আজ থেকে এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে চরম বিপাকে পড়বেন তারা।
সম্প্রতি প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় টিসিবির ট্রাক সেলে ক্রেতা বেড়ে যায়। বিশেষ করে বাজারের চেয়ে তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় এতদিন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির পণ্য কিনেছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। এরই মাঝে হঠাৎ করে আজ শনিবার থেকে চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলায় টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই ব্যাপারে টিসিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের সহকারী কার্যনিবাহী হাবিবুর রহমান আজাদীকে জানান, শনিবার থেকে আমাদের ট্রাক সেল কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে। পরবর্তী কার্যক্রম কবে শুরু হবে এই ব্যাপারে এখানো কোনো নির্দেশনা আমরা পায়নি। তবে খুব বেশিদিন বন্ধ থাকবে না। মাসের শেষের দিকে আমাদের ব্যাংকের হিসেব-নিকেশ ঠিক করতে হয়। সব মিলে সপ্তাহখানেক টিসিবির ভোগ্যপণ্য বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এরপর আবার শুরু হবে। প্রতি মাসের শেষে এবং মাসের শুরুর কয়েকদিন টিসিবির কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
জানা যায়, টিসিবির প্রতিটি ট্রাকসেলে প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকায়, ৬৫ টাকায় মসুর ডাল, ১১০ টাকায় প্রতি লিটার তেল বিক্রি হতো। একজন ক্রেতা দুই কেজি মসুর ডাল, দুই কেজি চিনি ও দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারতেন। অথচ খোলা বাজার এক লিটার সয়াবিন তেল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এজন্য টিসিবির ট্রাকে ক্রেতা বেশি।
নগরীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভোগ্যপণ্যের বাজারে লেগে আছে অস্থিরতা। তার উপর এখন থেকেই নতুন দফায় বাড়তে শুরু করেছে রোজানির্ভর সাত পণ্য। চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি, পেঁয়াজ ও খেঁজুরের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। নিত্যপণ্যের বাজারে বেকায়দায় সাধারণ মানুষ।

প্রতিবছরের মত সিন্ডিকেটের কারসাজিতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী রোজার আগে নিত্যপণ্যের বাজারকে আরো অস্থির করে তুলছেন, এমনটাই অভিযোগ করছেন সাধারণ মানুষ। অপরদিকে বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধি, আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়ছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল নগরীর রিয়াজউদ্দীন বাজার ও কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল, ডাল, ছোলা, চিনি, ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ সংকট নেই। তারপরও এ পণ্যগুলো কেজিতে নতুন করে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুপার লিগের শীর্ষে বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধ৩৬ বছর পর অপসারণ শুরু হচ্ছে আজ