অনন্য সম্পাদক এম এ মালেককে জানাই অকুণ্ঠ শুভেচ্ছা

ড. অনুপম সেন | বুধবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের সুপ্রসিদ্ধ পত্রিকা দৈনিক আজাদীর সম্পাদক স্বনামখ্যাত সাংবাদিক জনাব এম এ মালেক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় একুশে পদকে ভূষিত হওয়ায় আমরা চট্টগ্রামবাসী অত্যন্ত আনন্দিত। আমি বিশেষভাবে আনন্দিত। বিংশ শতাব্দীর ষাট দশক থেকে আমি এই পত্রিকার নিয়মিত গ্রাহক। এই পত্রিকা চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংবাদ নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকাশ করে গেছে, যাচ্ছে।
বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের উন্মেষের ক্ষেত্রে এই পত্রিকার অবদান রয়েছে, যা আজ অনেকেই জানেন না। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এদেশের তরুণরা বাংলা ভাষাকে তৎকালীন পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার জন্য বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। সেই অসাধারণ আত্মোৎসর্গকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাঙালির প্রথম কবিতা ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ রচনা করেছিলেন কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী। পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভয়াল ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে এই কবিতাটি ছাপিয়েছিল কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেস (যা আজকের আজাদী প্রেস)। আরও একটি অনন্য গৌরবের অধিকারী জনাব মালেক ও তাঁর সম্পাদিত আজাদী। এই পত্রিকাই বাঙালির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের ঘোষণা দিয়েছিল ‘জয় বাংলা’ শিরোনামে। এই দু’টি মহান কীর্তির জন্য আজাদী স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন এম এ মালেক অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে। অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ তখন ভারতে ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করছিলেন। সেই সময়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি করা ও নানা বিষয়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছেন জনাব মালেক। তিনি ভালো একজন লেখকও। তাঁর লেখায় হুইট আছে। তিনি একজন সুবক্তাও। তাঁর সকল বক্তৃতা হৃদয়গ্রাহী। জনাব এম এ মালেককে আমার অকুণ্ঠ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি তাঁর একুশে পদক প্রাপ্তিতে। তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।
লেখক : উপাচার্য, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম; একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ

পূর্ববর্তী নিবন্ধএম এ মালেকের একুশে পদক প্রাপ্তি ও চট্টগ্রামের গণমাধ্যম শিল্প
পরবর্তী নিবন্ধঘুষ লেনদেন : বাছিরের ৮ ও মিজানের ৩ বছরের কারাদণ্ড