শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে নগরের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় গ্রপের আটজন আহত হন। গত রোববার সকাল পৌনে ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন বোরহান উদ্দিন (২৬), রিয়াজ (১৯), মো. সুলতান (১৯), প্রিন্স দাশ (১৯), মো. রাকিব (২০), এসএম ইব্রাহীম (২০), জনি দাশ (২১) ও নুর আলম (২২)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে শেষের চারজন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং প্রথম চারজন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারি হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফুল দেয়া নিয়ে দুই পক্ষের জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে কথা কাটকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চকবাজার থানা পুলিশ পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার দিন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস জাহান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্যাম্পাসে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত কয়েকজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার বিষয়ে আ.জ.ম নাছিরের অনুসারি বোরহান উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ফুল দেয়ার পর যে যার মত অবস্থানে ছিল। হঠাৎ করে এসে আমাদের দুইজন ছোট ভাইকে ওরা অহেতুক থাপ্পর মারে। এটা নিয়েই ঝামেলাটা হয়। আমাদের রিয়াজম সুলতান, প্রিন্স আহত হয়েছে। আমি নিজেও আহত হয়েছি।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারি মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মায়মুন উদ্দিন মামুন আজাদীকে বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে ঝামেলা হয়েছিল। পরে সমাধান হয়ে গেছে।