চালের দাম বেড়েই চলেছে ক্রেতার কপালে ভাঁজ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ

বেড়েই চলেছে চালের বাজার। পাইকারিতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বস্তায় বেড়েছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। চালের এমন অব্যাহত দরবৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। চালের আড়তদাররা বলছেন, চালের বাজারে এখন খুব বেশি মজুদদারি হচ্ছে। মজুদদাররা আমদানিকৃত চাল ধরে রেখে বাজার বৃদ্ধি করছেন। অন্যদিকে অনেক শিল্পগ্রুপ ধান-চাল মজুদ করে বাহারি মোড়কে বাজারজাত করছে। এটি বাজার বাড়ার অন্যতম কারণ। নগরীর চালের আড়ত চাক্তাইয়ের চালপট্টি ও পাহাড়তলীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধানের দাম বৃদ্ধির প্রভাব গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তায় দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত। কেবল স্থিতিশীল রয়েছে বেতি আতপ ও মোটা সিদ্ধ চালের দাম।
চালের আড়তদাররা জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরাশাইল সিদ্ধ বস্তায় ১০০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ১৫০ টাকায়। এছাড়া মিনিকেট সিদ্ধ ১০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৫৫০ টাকা, পাইজাম সিদ্ধ বস্তায় ৫০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ১৫০ টাকা, কাটারিভোগ সিদ্ধ (২৫ কেজি) ৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে ২ হাজার ৬০০ টাকা, কাটারিভোগ আতপ বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, মিনিকেট আতপ ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০ টাকা এবং পাইজাম আতপ ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। অন্যদিকে অপরিবর্তিত আছে বেতি আতপ ও মোটা সিদ্ধ চালের দাম। বর্তমানে বেতি আতপ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ টাকা এবং মোটা সিদ্ধ চাল ১ হাজার ৯০০ টাকা।
জানতে চাইলে পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজাম উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, অনেকে চাল মজুদ করে বিক্রি করছে। উত্তরাঞ্চলের মিল মালিকরা অবস্থা বুঝে চাল বাজারজাত করছেন। ফলে চালের বাজার স্থির থাকছে না। অথচ এ বছর ধানের ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে এর সুফল লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মূলত একশ্রেণীর
মধ্যস্বত্বভোগী ধান চাল মজুদ রেখে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন।
চট্টগ্রাম চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর আজম দৈনিক আজাদীকে বলেন, চালের বাজারে কেবল নাজিরশাইল সিদ্ধের দাম একটু বেশি বেড়েছে। বাকিগুলো তেমন একটা বাড়েনি। তবে আমরা জানতে পেরেছি চালের বাজারে উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা চাল মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। এক্ষেত্রে সরকারের নজরদারির দুর্বলতাও আছে। ধান-চালের মজুদদারি ঠেকাতে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিশু ধর্ষণ ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধএকুশের রক্তাক্ত পথ ধরেই এদেশের স্বাধীনতা এসেছে