বড় ভাইয়ের প্রেমিকাকে ভাগিয়ে বিয়ে!

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ

নবম শ্রেণীর এক কিশোরীর সাথে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় চট্টগ্রামের ছেলে ফয়সাল। মেয়ের পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়নি। ফয়সাল তার ছোট ভাই ফরহাদের শরণাপন্ন হয়। ফরহাদ বড় ভাইয়ের প্রেমিকাকে অপহরণ করে নৌ-পথে সাগর পাড়ি দিয়ে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে, কিশোরীর সাথে ফয়সালের বিয়ে দেবে বলে। ইতোমধ্যে মেয়ের মা থানায় মামলা করেন তার কথিত প্রেমিক ফয়সালের বিরুদ্ধে। এ মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের হাতে ফয়সালের গ্রেপ্তার যেন শাপেবর হয়ে আসে ফরহাদের জন্য। ফয়সালের প্রেমিকাকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে নিজেই বিয়ে করে নেয় ফরহাদ। গত শনিবার রাতে নগরীর বায়েজিদের কানন আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে অপহৃত ওই কিশোরীকেও উদ্ধার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তার মো. ফরহাদ (২২) সন্দ্বীপ থানার মুছাপুর এলাকার মাহফুজুর রহমানের ছেলে।
র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি নবম শ্রেণীর ঐ ছাত্রী করোনা টিকা দিতে স্কুলে যায়। কিন্তু স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা আশপাশে তার খোঁজ করে। পরে পরিবার জানতে পারে, ওই ছাত্রীর কথিত প্রেমিক ফয়সাল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে অপহরণ করিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে র‌্যাবের অভিযান শুরু হয়। ভুক্তভোগীর মায়ের করা মামলায় কথিত প্রেমিক ফয়সাল গ্রেপ্তার হয়। তবে ফয়সালকে গ্রেপ্তারের পরেও অপহরণের শিকার ছাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
র‌্যাব এবার ফরহাদকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। একই সঙ্গে বড় ভাই ফয়সাল ছোট ভাই ফরহাদকে অনুরোধ করে ওই কিশোরীকে পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দিতে। ফরহাদ ওই কিশোরীকে হাটহাজারী উপজেলার আদর্শ গ্রামের পাশে পাহাড়ি সন্দ্বীপ পাড়া এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাসায় আশ্রয় নিয়ে ফয়সালের পরিণতির কথা জানিয়ে নিজে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরে ছলিমপুর ছিন্নমূলের এক কথিত কাজির সহায়তায় তাকে বিয়ে করে। সেখানে বিয়ে শেষে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযদি বর্ষে ফাল্গুনে…
পরবর্তী নিবন্ধশিশু ধর্ষণ ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার