ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৭টা। মো. মোস্তফা নামে এক মৎস্যজীবী প্রতিদিনের মতো যাচ্ছিলেন সন্দ্বীপের বাংলাবাজার ঘাটে। মাছ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ফেরার পথে পথিমধ্যে মুছাপুর বদিউজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দেলোয়ার খাঁ সড়কে লোকজনরে জটলা দেখতে পান।
কৌতুহলবশত মোটরসাইকেল থামিয়ে দেখতে যান কিসের এ জটলা?
তবে কাছে গিয়ে আঁতকে ওঠেন মাছ ব্যবসায়ী মোস্তফা। দেখতে পান ফুটফুটে একটি শিশু রাস্তার পাশে পড়ে আছে। কনকনে শীতে শক্ত হয়ে গিয়েছিল সদ্য এ নবজাতক।
এরপর দ্রুত উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এক আত্মীয়ের দুধ পান করানো হয় অভুক্ত শিশুক। বাড়িতে থেকে নিয়ে আসেন নিকটস্থ বেসরকারি হাসপাতাল স্বর্ণদ্বীপ ফাউন্ডেশন হাসপাতালে।
এদিকে মুহুর্তেই এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকের জন্য সমবেদনা ভালবাসা জানিয়ে ফেসবুকে কয়েকজন পোস্টও করেন। কেউ কেউ আবার দত্তক নিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা, সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ খান।
স্বর্ণদ্বীপ ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার তৌফিক-ই-এলাহি দৈনিক আজাদীকে জানান, যখন বাচ্ছাটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন ডান চোখের পাশে কিছুটা এভরশন ছিলো। এছাড়া বড় ধরনের কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হয়নি। তবে ঠিক কবে এ বাচ্ছার জন্ম সেটা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি ডা. এলাহি।
সন্দ্বীপ থানার ওসি বশির আহমেদ খান আজাদীকে বলেন, এই বিষয়ে আমি অবগত আছি। হাসপাতালে গিয়ে আমি বাচ্ছাটিকে দেখে এসেছি।