পার্কভিউ হাসপাতালের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ডাক্তারি হল এমন পেশা, যা দিয়ে সমাজকে সেবা দেয়া যায় : এম এ মালেক

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, কোন হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা না থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানে রোগী আসবে না। একজন রোগী যদি সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট হয়, তিনি অন্য অনেককে সেটি বলবেন। এভাবেই কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি হয়। পার্কভিউ হাসপাতালের আজকের যে অবস্থান, সেটি নিশ্চয়ই এ হাসপাতালের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে বলেই। ভবিষ্যতে এ অবস্থান আরো উন্নত হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। নগরীর বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সকালে হাসপাতালের দুতলায় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. এটিএম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এ কে এম ফজলুল হক। শুরুতে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজাদী সম্পাদক বলেন, ডাক্তারি হল এমন একটি পেশা, যা দিয়ে সমাজকে সেবা দেয়া যায়। একই সাথে নিজের রুটি-রুজিরও ব্যবস্থা করা যায়। তবে ডাক্তারদের নিয়ে সাধারণ মানুষের একটি অভিযোগ প্রায় শোনা যায়। সেটি হল, ডাক্তাররা রোগীদের ভালো মতো সময় দেন না বা দেখেন না। একজনকে দেখছেন, সামনে আরো ৩ জনকে বসিয়ে রাখেন। এতে করে সব রোগী কিন্তু নিজের সব কথা ডাক্তারকে বলতে পারেন না। কারণ রোগীর একান্তে বলারও অনেক কথা থাকে। যা তিনি অন্যের সামনে বলতে পারেন না। বাধ্য হয়ে রোগী অনেক কথা না বলেই চলে আসেন। ডাক্তার প্রেসক্রিপশন দেন, রোগী ওষুধ খান। কিন্তু ওষুধে কাজ হয় না। এতে করে শেষ পর্যন্ত ডাক্তারেরই কিন্তু বদনাম হয়। তাই ডাক্তাররা যেন এ সংস্কৃতি পরিহার করেন, সে আহ্বান জানান সাংবাদিকতায় একুশে পদকে ভূষিত এম এ মালেক। করোনা মহামারীর কঠিন সময়ে রোগীদের সেবায় অবদান রাখায় পার্কভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চিকিৎসার্থেও যথাসাধ্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এম এ মালেক।
একুশে পদকে ভূষিত হওয়ায় আজাদী সম্পাদক এম মালেককে অভিনন্দন জানিয়ে কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম তার বক্তব্যে বলেন, আমরা এই মানুষটিকে নিয়ে গর্ব করি। তিনি চট্টগ্রাম তথা গোটা বাংলাদেশের আলোকবর্তিকা। বাবার মৃত্যুর পর শক্ত হাতে তিনি আজাদীর হাল ধরেছেন এবং একটি অনন্য অবস্থানে নিয়ে গেছেন।
করোনাকালে পার্কভিউ হাসপাতালের ভূমিকার প্রশংসা করে কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম বলেন, করোনার বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে এই হাসপাতালের অভাবনীয় ভূমিকা আমরা দেখেছি। সকলের আন্তরিকতাও দেখেছি। এ জন্য এই হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। চট্টগ্রামের মানুষ যখনই চিকিৎসার কথা চিন্তা করে সবার আগে পার্কভিউ হাসপাতালের কথাই আগে চিন্তা করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বক্তব্যে হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. একে এম ফজলুল হক বলেন, চট্টগ্রামে চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে পার্কভিউ হাসপাতাল এরই মধ্যে নের্তৃত্ব স্থানে পৌঁছে গেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের সব বিভাগকে এক ছাতার নিচে এনে আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। রোগ নির্ণয়ে বিশ্ব মানের ল্যাবরেটরি করা হয়েছে। এখনো যে সব যন্ত্রপাতি সংযোজন করা সম্ভব হয়নি, খুব শীঘ্রই সে সবও যুক্ত করা হবে। মোটকথা, সেবা নিতে এসে রোগীরা যেন এখান থেকে সন্তুষ্টি নিয়েই যান, সেটাই আমাদের চাওয়া।
হাসপাতালের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মো. রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ল্যাব ডাইরেক্টর ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, মার্কেটিং ডাইরেক্টর ডা. শাহ্‌ আলম, মেডিকেল ডাইরেক্টর (ল্যাব সার্ভিস) ডা. আহমেদ রহিম, কমপ্লায়েন্স ডাইরেক্টর ডা. সালাহউদ্দিন এম এ এইচ চৌধুরী, মেইনটেনেন্স ডাইরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, ডা. মো. জসিম উদ্দিন, ডা. এম এম আলম সাদী, ডা. সগীর। এছাড়া হাসপাতালের জি এম তালুকদার জিয়াউর রহমান শরীফ, ডিজিএম হুমায়ুন কবীর, হেড অব মার্কেটিং জাহেদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজিপিওর গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ
পরবর্তী নিবন্ধখায়রুজ্জামানের প্রত্যর্পণে মালয়েশিয়ার আদালতের স্থগিতাদেশ