চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, এই রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। যেহেতু চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন তাই এই রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করব। চট্টগ্রাম থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত রেললাইনের কাজ দ্রুত শুরু হবে জানিয়ে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, জানালীহাট থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত রেললাইনের ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়ে গেছে। চুয়েটের ভেতর দিয়ে রেললাইন কাপ্তাই পর্যন্ত যাবে। পরতর্তীতে তিন পার্বত্য জেলায়ও রেললাইনের সংযোগ স্থাপন হবে। একই সাথে চট্টগ্রাম বে টার্মিনালের সাথেও রেল সংযোগ স্থাপিত হবে। যাতে করে বে টার্মিনাল থেকে সরাসরি ট্রেনে করে কন্টেইনার পরিবহন করা যায়।
গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নতুন রেলস্টেশন থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক সাদা চায়না বগিতে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন আঙিকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকার পরে চট্টগ্রামের অবস্থান। চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাই চট্টগ্রাকে ঘিরে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আজকে যে ময়মনসিংহগামী বিজয় এঙপ্রেস শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক চায়না বগিতে যাত্রা শুরু করল, এটা আমাদের দেশের সম্পদ। এই ট্রেনের ময়মনসিংহগামী যাত্রীদের ভ্রমণ আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে। এটার পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। ট্রেন অনেক স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ। এক সময় রেলের কোনো ওয়ারিশ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী রেল ব্যবস্থার উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। সারা দেশের সাথে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
এ সময় তিনি চট্টগ্রাম দোহাজারী রেললাইন সংস্কার করে পুনরায় পূর্বের মত ট্রেন চলাচলের জন্য জিএম-ডিআরএমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম, সিওপিএস (পূর্ব) এসএম সালাউদ্দিন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার আবুল কালাম চৌধুরী, আরএনবির রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট জহিরুল ইসলাম, কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী, ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুব উল করিম, প্রকৌশলী-১ মো. হানিফ, পরিবহন কর্মকর্তা তারেক ইসলাম, বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী সাকের আহমদ, ডিএসটিই (টেলিকম পূর্ব) চৈতী মুহুরী, কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন, আরএনবি এসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট সত্যজিৎ দাশ, স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী, আরএনবির চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সালামত উল্লাহ। আরও উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শ্যামল পালিত, সদস্য ও ক্রীড়া সংগঠন সুমন দে।
নতুন আঙিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকৃত বিজয় এক্সপ্রেসে মোট ১৪টি বগি রয়েছে। এর মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি রয়েছে ৫টি, শোভন চেয়ার ৫টি। এছাড়া রয়েছে পাওয়ার কার এবং ২টি এসি র্গাড ব্রেক
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন এখন থেকে চট্টগ্রাম ছাড়বে সকাল ৯টায়, ময়মনসিংহ পৌঁছবে বিকেল ৬টা ৪৫ মিনিটে। ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছবে সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে।
