দীর্ঘদিন নদী ভাঙনের ফলে সন্দ্বীপের পশ্চিম পাশের ইউনিয়নগুলোর বেশিরভাগই বিলিন হয়ে গিয়েছিল। তবে বিগত পাঁচ-ছয় বছর ধরে ধীরে ধীরে ভাঙন বন্ধ হয়ে জেগে উঠছে চর। বাড়ছে নতুন চরের আয়তন। নতুন এ ভূমির দূরত্ব সন্দ্বীপের মূল ভূখণ্ড থেকে মাত্র ৫০০ মিটার। ভাটার সময় হাঁটু পানিতে হেঁটেই পার হয়ে নতুন ভূমিতে চলে যেতে পারেন স্থানীয় জেলে আর কৃষকরা। কিন্তু বর্ষাকালে জোয়ারের তীব্রতা বেড়ে গেলে হুমকির মুখে পড়ে নতুন চরসহ দ্বীপের মূলভাগ।
এদিকে নতুন জেগে উঠা এ ভূমিকে সন্দ্বীপের মূল-ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন সন্দ্বীপের কালাপানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিমুর রেজা টিটু, কালাপানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান আরমান, বাঁধ রক্ষা কমিটির সভাপতি আশরাফুল হক রোবেল, মাস্টার আবদুর রহমান রহমানসহ জলবায়ু উদ্বাস্তুরা। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আলিমুর রেজা টিটু দৈনিক আজাদীকে জানান, সন্দ্বীপের জেগে উঠা এ ভূমিকে মূলভাগের সঙ্গে সংযুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সন্দ্বীপের হরিশপুর, দুবলাপাড়, রহমতপুর, কালাপানিয়া, কাটগড়, বাটাজোড়া, বাউয়া, হুদ্রাখালীসহ কয়েকটি ইউনিয়নের বিরাট অংশ ও সম্পূর্ণ অংশ ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যায়।
তবে কয়েক বছর পূর্ব থেকে আবারো চর জেগে উঠে। তাই জেগে উঠা এ চরের সঙ্গে বাঁধ নির্মাণের ফলে চরের স্থায়িত্ব একদিকে যেমন বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে ভিটেমাটি হারিয়ে বেড়িবাঁধের পাশে মানবেতর জীবনযাপন করা মানুষগুলোও তাদের আপন নীড় খুঁজে পাবে।