চাহিদার তুলনায় পণ্য কম, তাই টিসিবির পণ্যবাহী ট্রাক নির্ধারিত স্পটে আসার সাথে সাথেই দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষমাণ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন ট্রাকে। কার আগে কে চাহিদা মতো পণ্য নিতে পারবে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আর এই নিয়ে অনেক সময় অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে। পেছন থেকে অনেকেই দৌঁড়ে আগে ট্রাকের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে। এমন একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালখান প্রেসক্লাবের সামনে। টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য নিতে গিয়ে কার আগে কে নিবে এমন পরিস্থিতিতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এক মহিলার সাথে দুই-তিন জন মহিলার হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সুবিধার জন্য সরকার ন্যায্য মূল্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে চিনি, তেল, ডাল ও পেয়াজ বিক্রি করছে।
পুরো নগরীতে ১৭ টি ট্রাকে করে খোলা বাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। একই সাথে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আরো ১৩টি ট্রাকে করে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী টিসিবির প্রত্যেক ডিলারকে সকাল সাড়ে ৬ টায় পণ্যবাহী ট্রাক লোড করে সাড়ে ১০টার মধ্যে যার যার নির্দিষ্ট স্পটে ট্রাক নিয়ে গ্রাহকদের সামনে উপস্থিত হতে হবে। কিন্তু নগরীতে টিসিবির কোনো ডিলারই সেই নির্দেশনা মানছেন না।
সরেজমিনে বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সকাল দশটার মধ্যে কোনো ডিলারই ট্রাক নিয়ে স্পটে যায় না। এজন্য ক্রেতাদেরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এবং সিরিয়ালের জন্য মারামারি করতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও মালামাল না পেয়ে অনেক ক্রেতাকে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে।