হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ

যেকোনো সময় যেতে পারে এমপি পদ

আজাদী ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছরের কারদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায় প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এ রায় প্রকাশ করা হয়।
আদালতে হাজী সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মনির।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করে দুদক। প্রায় দুই যুগ আগে দুদকের করা ওই মামলায় পৃথক দুটি ধারায় হাজী সেলিমকে ১০ বছর ও তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। পরে হাইকোর্ট সে সাজা থেকে তাকে খালাস দেন। কিন্তু আপিল বিভাগের নির্দেশে হাইকোর্টে এই মামলাটি ফের শুনানি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১১ নভেম্বর আপিলের শুনানিতে হাজী সেলিমের মামলার যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন হাইকোর্ট। ওই নথি পাওয়ার পর ৩১ জানুয়ারি শুরু হয় হাইকোর্টে পুনঃশুনানি। এরপর রায় ঘোষণা করেন আদালত। তবে এ মামলায় হাজী সেলিম বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে বিচারিক (নিম্ন) আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে বলেছেন হাই কোর্ট।
নৈতিক স্খলনজনিত কারণে কোনো এমপির সাজা হলে তিনি সংসদ সদস্য পদে থাকার অযোগ্য হবেন বলে সংবিধানে উল্লেখ আছে। ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ন্যূন্যতম দুবছর দণ্ডিত হলে সংসদ সদস্য হওয়ার ও থাকার যোগ্যতা হারান যে কেউ। নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, মুক্তিলাভের পাঁচ বছর পার না-হওয়া পর্যন্ত ভোটে অংশ নেওয়া যায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোগী সেজে সিএনজি ছিনতাই
পরবর্তী নিবন্ধকার্নেট সুবিধায় আনা গাড়ির নিলাম অনুমোদন মেলে তিনটির